এইদিন ওয়েবডেস্ক,আঙ্কারা,২১ মে : কট্টর ইসলামি রিসেপ তাইয়েপ এরদোগান, নাকি ধর্মনিরপেক্ষ নেতা কামাল কিলিচদারোগ্লু -কাকে ক্ষমতায় দেখতে চায় তুরস্কের জনতা ? এখন এই প্রশ্নই ঘুরপাক খাচ্ছে বিশ্ব রাজনীতিতে । পাকিস্তান, বাংলাদেশের মত ইসলামি দেশগুলো মনেপ্রাণে এরদোগানকে চাইলেও বিশ্বের অমুসলিম দেশগুলোর সিংহভাগই কামাল কিলিচদারোগ্লুকে তুরস্কের পরবর্তী প্রেসিডেন্টের আসনে দেখতে চায় । কারন এরদোগানের ইসলামি সন্ত্রাসবাদী সংগঠন ও পাকিস্তানের মত সন্ত্রাসবাদের মদতদাতা দেশের প্রতি দূর্বলতায় বীতশ্রদ্ধ ওই দেশগুলি । গত ১৪ মে ঘোষিত ফলাফলে কিছুটা আশাও জেগেছে কামাল কিলিচদারোগ্লুর পক্ষে । যেখানে এরদোয়ানের উপর ৪৯.৩ শতাংশ, কিলিচদারোগ্লুর উপর ৪৫ শতাংশ এবং নির্দলীয় প্রার্থী সিনান ওগানের উপর ৫.২ শতাংশ মানুষ আস্থা রেখেছে । ওগান জানিয়ে দিয়েছেন রানঅফ নির্বাচনে অংশ নেবেন না । অনুমান করা হচ্ছে ওগান সমর্থকদের ভোট কিলিচদারোগ্লুর পক্ষেই পড়বে । ফলে ২০ শতকের বেশিরভাগ সময় ধরে তুরস্কে শাসনকারী কামাল কিলিকদারোগ্লুর ধর্মনিরপেক্ষ দলের ফের ক্ষমতায় ফিরে আসার সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে ।
অন্যদিকে ৬৯ বর্ষীয় রিসেপ তাইয়্যেপ এরদোয়ানের নির্বাচনে জয়ী হলে তা আশ্চর্যজনক হবে কারণ ১৯৯০-এর দশকের পর থেকে তার দেশ সবচেয়ে খারাপ অর্থনৈতিক সংকটের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে । তার উপর সাম্প্রতিক ভূমিকম্পে কয়েক হাজার মানুষের মৃত্যু এবং গৃহহীন মানুষদের ত্রাণ বা পুনর্বাসন প্রক্রিয়ায় ধীর গতির কারনে এরদোয়ানের উপর চরম ক্ষুব্ধ তুর্কির ভূমিকম্প কবলিত এলাকার মানুষ । এছাড়া তুরস্কের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ বিগত ২১ বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন স্তরে নেমে এসেছে । ক্যাপিটাল ইকোনমিক সতর্ক করেছে যে রিসেপ তাইয়্যিপ এরদোগানের ফের জয়ী হলে তুরস্ক অর্থনৈতিক অস্থিতিশীলতার দিকে যেতে পারে । গুরুতর মুদ্রা সংকটের ঝুঁকির মধ্যে পড়তে পারে ওই মুসলিম রাষ্ট্রটি । এখন তুরস্কের জনগন কি ভাবছে তা স্পষ্ট হবে আগামী রবিবার । কারন ওই দিনই হতে চলেছে রানঅফ নির্বাচন ।।