এইদিন ওয়েবডেস্ক,মোরাদাবাদ,২০ মে : স্বামী সৌদি আরবে চাকরি করে । এদিকে দাদার অনুপস্থিতির সুযোগ নিয়ে বউদিকে দিনের পর দিন ধরে ধর্ষণ করে যাচ্ছিল ভাই । দেওরের প্রতিনিয়ত যৌন হয়রানি মেনে নিতে পারেনি বধূ । তাই তিনি প্রতিবাদ করেছিলেন । আর তার সেই অপরাধে শ্বশুরবাড়ির লোকেরা তাকে মারধর করে বাড়ি থেকে বের করে দেয়, এমনকি স্বামী দুবাই থেকে তাকে ফোন করে ‘তিন তালাক’ দেয় বলে অভিযোগ । ঘটনাটি ঘটেছে উত্তরপ্রদেশের মোরাদাবাদ জেলার হাপুরের গড়মুক্তেশ্বর থানার বদরখার এলাকায় । নির্যাতিতা বধূ পরে বাপের বাড়ি ফিরে এসে স্থানীয় থানার পুলিশের দ্বারস্থ হলে স্বামীসহ শ্বশুরবাড়ির লোকজনের বিরুদ্ধে মামলা রুজু করা হয়েছে । ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
মিডিয়া রিপোর্টে জানা গেছে,মোরাদাবাদ জেলার ময়থার থানা এলাকায় বাপের বাড়ি ওই বধূর ।হাপুরের গড়মুক্তেশ্বর থানা এলাকার বদরখার বাসিন্দা এক যুবকের সঙ্গে ২০২০ সালের ২৯ জুন বিয়ে হয় তার । মহিলা তার অভিযোগে পুলিশকে জানান, বিয়ের পর থেকে স্বামী, শাশুড়ি, শ্বশুর, দেওর ও ননদ অতিরিক্ত যৌতুকের জন্য দাবি করতে থাকে । দাবি পূরণ না হলে শুরু হয় নির্যাতন । বধূ জানায়, তার স্বামী সৌদিতে চাকরি করে । আর সেই সূযোগে দেওর দিনের পর দিন তাকে ধর্ষণ করে যাচ্ছিল ।
নির্যাতিতা বধূর অভিযোগ,গত ২১ এপ্রিল রাতে তার ঘরে প্রবেশ করে দেওর । তাকে জোর করে ধর্ষণ করে । এই বিষয়ে শ্বশুরবাড়ির লোকজনের কাছে অভিযোগ জানালে সবাই মিলে তাকে একটা ঘরের মধ্যে আটকে রেখে ব্যাপক মারধর করে । শুধু তাই নয়, সৌদিতে থাকা তার স্বামী তাকে ফোন করে ‘তিন তালাক’ দিয়ে দেয় । এরপর শ্বশুরবাড়ির লোকজন তাকে মারধর করে বাড়ি থেকে বের করে দেয় ।।