এইদিন ওয়েবডেস্ক,নওয়াদা(বিহার),১৯ মে : বাড়ি থেকে কয়েক লক্ষ টাকা এবং বেশ কিছু সোনার গহনা বগলদাবা করে প্রতিবেশী মুসলিম যুবকের সাথে পালালো বিহারের ১৬ বছর বয়স্ক এক হিন্দু কিশোরী । ঘটনাটি ঘটেছে বিহারের নওয়াদা জেলার ওয়ারসালিগঞ্জ থানা এলাকার উত্তর বাজার গ্রামে । বুধবার(১৭ মে ২০২৩) ওই কিশোরী নিখোঁজ হওয়ার পর এনিয়ে প্রতিবেশী জাবেদ আলম ওরফে মনু নামে ওই যুবকের বিরুদ্ধে ওয়ারসালিগঞ্জ থানায় একটি অপহরণের মামলা রজু করেছেন নিখোঁজ কিশোরীর মা রীতা দেবী । রীতা দেবীর অভিযোগ, তার মেয়েকে ধর্মান্তরিত করে বিয়ে করার উদ্দেশ্যেই জাবেদ আলম তাকে অপহরণ করেছে ।
অর্গানাইজ উইকলির প্রতিবেদন অনুযায়ী,অভিযোগ কারিনী পুলিশকে জানিয়েছেন যে বুধবার ভোর ৪ টা নাগাদ তার মেয়েকে প্রলোভন দেখিয়ে অপহরণ করে জাবেদ আলম । সকালে তার এক প্রতিবেশী তার মেয়েকে জাভেদের সাথে সিমরি গলি থেকে সিমটি বাইপাস পর্যন্ত পায়ে হেঁটে যেতে দেখেছে এবং সেখান থেকে তারা দুজন মোটর সাইকেলে চড়ে পালিয়ে যায় ।
তার অভিযোগ, মেয়েকে অপহরণের পিছনে জাভেদের কাকা ও তাদের সম্প্রদায়ের কয়েকজন লোকও জড়িত রয়েছে । পাশাপাশি তিনি বলেছেন, তার মেয়ে পালানোর আগে বাড়ি থেকে ৫ লক্ষ টাকা নগদসহ প্রায় ৭৫ থেকে ১০ গ্রাম সোনার গহনা চুরি করে নিয়ে গেছে । মহিলার অভিযোগের ভিত্তিতে অভিযুক্ত জাবেদ আলমের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩৬৩ (অপহরণ),৩৬৬-এ এবং ৩৪ ধারায় একটি মামলা দায়ের করেছে ওয়ারশালিগঞ্জ থানার পুলিশ ।
পাশাপাশি একই জেলার ওয়ারিশালীগঞ্জ থানা এলাকার এক ১৬ বছর বয়সী এক হিন্দু মেয়েকে অপহরণের অভিযোগে মোশাররফ আলম নামে এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ । গত ২৪ এপ্রিল মোশাররফ মেয়েটিকে অপহরণ করে বলে অভিযোগ । তার প্রায় ১৫ দিন পর রাঁচি থেকে মেয়েটিকে উদ্ধারের পাশাপাশি অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে পুলিশ ।
উল্লেখ্য,বিহারে হিন্দু মেয়েদের প্রেমের ফাঁদে ফেলে ফুসলিয়ে নিয়ে যাওয়ার ঘটনা আকছার শোনা যায় । চলতি বছরের এপ্রিলের ৪ তারিখে বিহারের বেগুসরাই জেলা থেকে ১৬ বছরের এক হিন্দু কিশোরী নিখোঁজ হয়েছিল । প্রায় এক সপ্তাহ পর বিহারের দারভাঙ্গা জেলা থেকে তাকে উদ্ধার করে পুলিশ । ওই ঘটনায় মহম্মদ নিশান্ত নামে এক যুবককে অপহরণের অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়।।