দিব্যেন্দু রায়,ভাতার(পূর্ব বর্ধমান),১৭ মে : কুপ্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় কাকিমাকে লাঠি দিয়ে মারধরের অভিযোগ উঠেছিল পূর্ব বর্ধমান জেলার ভাতার থানার বাসিন্দা কার্তিক দাস(২৭) নামে এক যুবকের বিরুদ্ধে । স্ত্রীকে বাঁচাতে গিয়ে যুবকের মূক ও বধির কাকাকেও ভাইপোর হাতে মার খেতে হয় বলে অভিযোগ । সোমবার রাতে কাকা- কাকিমাকে মারধরের পর থেকেই চম্পট দিয়েছিল ভাইপো । এদিকে মঙ্গলবার সকালে ভাতার থানার পুলিশের দ্বারস্থ হন প্রহৃত বধূ । তাঁর নির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ ওইদিন রাতেই কার্তিক দাসকে এলাকা থেকে গ্রেফতার করে । বুধবার ধৃতকে বর্ধমান আদালতে পাঠানো হয় ।
যদিও আদালত যাওয়ার পথে ধৃত কার্তিক দাস জানান, তার বিরুদ্ধে কাকিমাকে কুপ্রস্তাব দেওয়ার মিথ্যা অভিযোগ আনা হয়েছে ।’ তবে সে কাকিমাকে মারধরের কথা স্বীকার করে দাবি করে,’কাকিমা স্থানীয় এক ব্যক্তির সঙ্গে পরকীয়ায় লিপ্ত । কাকার বাড়িতে যাতায়াতও আছে ওই ব্যক্তির । এনিয়ে অনেকবার কাকিমাকে সতর্ক করা হয়েছিল,কিন্তু শোনেনি,উল্টে আমাকে হুমকি দেখাচ্ছিল । তাই আমি মারধর করেছি ।’ যদিও যুবকের অভিযোগ প্রসঙ্গে তার কাকিমার কাছ থেকে কোনো মতামত পাওয়া যায়নি ।
উল্লেখ্য, মঙ্গলবার সকালে বাপের বাড়ির লোকজনদের সাথে এসে ভাতার থানায় ভাসুরপো কার্তিক দাসের বিরুদ্ধে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন বছর তেত্রিশের প্রহৃত গৃহবধূ । পুলিশের কাছে অভিযোগে ওই মহিলা জানিয়েছিলেন, তার ভাসুরপো কার্তিক দাস তাকে প্রায়ই কুপ্রস্তাব দিত । এনিয়ে তিনি তার ভাসুরকেও জানিয়েছিলেন । তবুও কার্তিকের মধ্যে কোনো পরিবর্তন হয়নি । সোমবার সন্ধ্যায় তার ভাসুর ও জা বাড়িতে ছিল না । পাড়াও সুনসান ছিল৷ সেই সূযোগে কার্তিক বাড়িতে এসে তাকে ফের কুপ্রস্তাব দেয় । প্রতিবাদ করলে একটা লাঠি দিয়ে তাকে ব্যাপক পেটাতে থাকে । তার স্বামী বাঁচাতে এলে তাকেও মারধর করা হয় । শেষে তারা বাড়ির একটা ঘরে ঢুকে খিল দিয়ে আত্মরক্ষা করেন ।।