দিব্যেন্দু রায়,ভাতার(পূর্ব বর্ধমান),১৬ মে : মাস পাঁচেক আগে যুবকের বউ বাপের বাড়ি পালিয়েছে । আর তারপর থেকেই বছর ত্রিশের কাকিমার দিকে কুনজর দিতে শুরু করেছিল সে । নিজের কাকিমাকে সে বারবার কুপ্রস্তাবও দিয়ে আসছিল । শেষ পর্যন্ত বধূ তার ভাসুরকে ঘটনার কথা জানিয়ে দেন এবং থানায় জানাবেন বলে সতর্কও করে দেন ভাসুরপোকে । সেই আক্রোশে কাকিমাকে লাঠি দিয়ে বেদম পেটানোর অভিযোগ উঠল ওই যুবকের বিরুদ্ধে । স্ত্রীকে বাঁচাতে গিয়ে ভাইপোর হাতে মার খেলেন মূক ও বধির কাকাও । সোমবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে পূর্ব বর্ধমান জেলার ভাতার থানার খেড়ুর গ্রামে । মঙ্গলবার প্রহৃত বধূ ভাতার থানায় তার ভাসুরের ছেলে কার্তিক দাসের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছেন । পুলিশ জানিয়েছে, অভিযুক্ত যুবক পলাতক । তার সন্ধান চলছে ।
জানা গেছে,প্রহৃত বধূ ও তার মূক ও বধির স্বামী দু’জনেই জনমজুরির কাজ করেন । পাশাপাশি বাড়ি বধূর ভাসুরের । ভাসুরপো কার্তিক দাস বিবাহিত । কিন্তু মাস পাঁচেক আগে তার স্ত্রী বাপের বাড়ি চলে যায় । তারপর থেকে সে আর শ্বশুরবাড়ি ফেরেনি । এদিকে স্ত্রী পালিয়ে যাওয়ার পর থেকেই কাকিমার উপর কুনজর পড়ে কার্তিকের । কাকিমাকে কুপ্রস্তাব দিতে শুরু করে সে ।
পুলিশের কাছে কার্তিকের কাকিমা জানিয়েছেন, ভাসুরপোর বারবার নোংরা প্রস্তাবে অতিষ্ট হয়ে তিনি সম্প্রতি ভাসুর ও জাকে তাদের ছেলের কীর্তির কথা বলতে বাধ্য হন । একথা শুনে ভাসুর ও জা তাদের ছেলেকে অপমানও করেন । তাতেও কার্তিকের মধ্যে কোনো পরিবর্তন হয়নি । জানা গেছে,সোমবার সন্ধ্যায় কার্তিকের বাড়িতে তার মা-বাবা ছিল না । ভাতার বাজারে অভিষেক ব্যানার্জির রোড শোয়ের কারনে প্রতিবেশীদের বাড়িও ফাঁকা ছিল । সেই সূযোগে বধূদের বাড়িতে আসে কার্তিক । তারপর সে কাকিমাকে কুপ্রস্তাবের পাশাপাশি বিভিন্নভাবে উত্যক্ত করতে শুরু । বধূ পুলিশকে জানাবেন বলে তাকে সতর্কও করেন । আর এতে ক্ষিপ্ত হয়ে সে একটা লাঠি দিয়ে কাকিমাকে ব্যাপক মারধর করে । স্ত্রীকে বাঁচাতে এসে ভাইপোর হাতে আক্রান্ত হন দিব্যাঙ্গ কাকাও । যদিও শেষ পর্যন্ত ওই দম্পতি ঘরে ঢুকে দরজা বন্ধ করে দিয়ে প্রাণ বাঁচান ।
বধূর অভিযোগ,দরজা বন্ধ করার পরেও দরজার সামনে লাঠি হাতে ঠায় দাঁড়িয়েছিল তার ভাসুরপো । অনেক পরে পাড়ার লোকজন ভাতার বাজার থেকে ফিরলে তার আর্ত চিৎকার শুনে বাড়িতে ছুটে আসে । তখন সে পালিয়ে যায় ।
এদিন বাপের বাড়ির লোকজনদের সাথে ভাতার থানায় এসে গুনধর ভাসুরপোর বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন প্রহৃত বধূ ।।