এইদিন ওয়েবডেস্ক,ইসলামাবাদ,০৯ মে : পাকিস্তানে কঙ্গো ভাইরাসে একজন গর্ভবতী আফগান মহিলাসহ ২ জনের মৃত্যু হয়েছে । পাকিস্তানের স্বাস্থ্য মন্ত্রক জানিয়েছে,মৃত্যুর ঘটনা দুটির একটি কোয়েটায় এবং অন্যটি করাচিতে ঘটেছে । জানা গেছে,২০ বছর বয়সী ওই আফগান মহিলার নাম গুলনাজ । তার মুখ ও নাক দিয়ে রক্ত ঝরছিল । একারণে তাকে পাকিস্তানের কোয়েটার একটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল । কিন্তু সোমবার সকালে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান ওই আফগান মহিলা । হাসপাতালের চিকিৎসক ডাঃ জুবায়ের আহমদ বলেন, গত চার মাসে কঙ্গো ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে চারজন মারা গেছেন । জুবায়ের আহমেদ দাবি করেছেন যে পাকিস্তানে কঙ্গো ভাইরাসে আক্রান্তদের অধিকাংশ সাম্প্রতিক সময়ে আফগানিস্তানে ভ্রমণে করেছিলেন বলে জানতে পারা গেছে । অন্যদিকে পাকিস্তানের সিন্ধু প্রদেশের স্বাস্থ্য বিভাগের ঘোষণা অনুযায়ী,আদিল নামে ২৮ বছর বয়সী এক কসাই কঙ্গো ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন। হাসপাতালে নিয়ে আসার সময় তারও মুখ ও নাক থেকে রক্তক্ষরণ হচ্ছিল ।
উল্লেখ্য,কঙ্গো ভাইরাস বা ক্রিমিয়ান-কঙ্গো হেমোরেজিক ফিভার (CCHF) হল একটি টিক-বাহিত (tick-borne) ভাইরাল রোগ যা বন্য এবং গৃহপালিত প্রাণীকে সংক্রামিত করে । বেশিরভাগ সময় সংক্রমিত প্রাণীদের কোনো লক্ষণ দেখা যায় না । সংক্রামিত প্রাণীর রক্ত, টিস্যু বা তাজা মাংসের মধ্য দিয়ে এটি মানুষের মধ্যে সংক্রমিত হয় । এটি অত্যন্ত ছোঁয়াচে । ফলে সংক্রামিত ব্যক্তির অঙ্গ, রক্ত বা অন্যান্য নিঃসরণ এবং শারীরিক তরলগুলির সাথে ঘনিষ্ঠ যোগাযোগের ফলে এটি দ্রুত অন্য মানুষের মধ্যে ছড়িয়ে পড়ে । কঙ্গো ভাইরাস উচ্চ তাপমাত্রায় বেঁচে থাকে না এবং ভালোভাবে রান্না করা মাংস ভাইরাস সংক্রমণের কোনো ঝুঁকি তৈরি করে না। সিসিএইচএফ থেকে মৃত্যুর হার প্রায় ৩০ শতাংশ । অসুস্থতার দ্বিতীয় সপ্তাহে মৃত্যু ঘটে । যেসব রোগী সুস্থ হয়ে ওঠেন, তাদের উন্নতি সাধারণত অসুস্থতা নবম বা দশম দিনে শুরু হয় ।
এদিকে কঙ্গো জ্বরের সংক্রমণ রোধ করতে পশু চিকিৎসকদের তত্ত্বাবধানে পশু জবাই এবং পশুর চামড়ার মাংস কিছু সময়ের জন্য স্বাভাবিক তাপমাত্রায় রাখতে হবে বলে সতর্ক করে দিয়েছে পাকিস্তান স্বাস্থ্যমন্ত্রক ।।

