এইদিন ওয়েবডেস্ক,ইসলামাবাদ ও ঢাকা,০৬ মে : ধর্ষণ,খুন, মন্দিরে হামলা,দেবীদেবতার প্রতিমা ভাঙচুর, হিন্দুদের সম্পত্তি জবরদখল দুই মুসলিম রাষ্ট্র পাকিস্তান ও বাংলাদেশের নিত্যনৈমিত্তিক ঘটনা হয়ে গেছে । এই কারনে ওই দুই মুসলিম রাষ্ট্রে হিন্দুদের সংখ্যা বর্তমানে তলানিতে পৌঁছেচে । লক্ষ লক্ষ মানুষ নিজেদের প্রাণ এবং পরিবারের মহিলাদের সম্ভ্রম বাঁচাতে ভারতে পালিয়ে আসছেন । আগামী কয়েক দশকের মধ্যে এই দুই রাষ্ট্র হিন্দু শূণ্য হয়ে যাবে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন অভিজ্ঞমহল । তাসত্ত্বেও দুই মৌলবাদী রাষ্ট্রে হিন্দুদের উপর নির্যাতন কিছুতেই বন্ধ হচ্ছে না । একদিনে ইসলামি মৌলবাদীদের ‘সফট টার্গেট’ হিন্দু মেয়েদের ‘লাভ জিহাদ’-এর ফাঁদে ফেলে যেমন ধর্মান্তরিত করার প্রক্রিয়া চলছে,পাশাপাশি হিন্দু মেয়েদের অপহরণের পর ধর্মান্তরিত করে বেশি বয়সের মুসলিম পুরুষকে বিয়ে করতে বাধ্য করা হচ্ছে । ফের এমনই একটা ঘটনার খবর আসছে পাকিস্থান থেকে । জানা গেছে,গত ২৭ এপ্রিল পাকিস্থানের সিন্ধ প্রদেশের দেহরকি(Dehrki) এলাকার বাসিন্দা দিনো ভিলের(Dino Bheel) ১৩ বছরের মেয়ে দেবীকে (Devi) প্রথমে অপহরণ করে জিহাদিরা । তারপর ওই ছোট্ট মেয়েটিকে রহিম ইয়ার খান (Rahim Yar Khan) এলাকায় নিয়ে গিয়ে জোর করে ধর্মান্তরিত করার পর পাকিস্তানের পাঞ্জাবের বাসিন্দা মুহাম্মদ আলী (Muhammed Ali) নামে এক মধ্য বয়স্ক ব্যক্তির সাথে বিয়ে দিয়ে দেওয়া হয় । অপহরণের ঘটনার পর স্থানীয় থানায় অভিযোগ দায়ের করতে গিয়েছিলেন অসহায় দিনো ভিল । কিন্তু পাকিস্তানি পুলিশ বিষয়টি প্রেমের ঘটনা বলে দাবি করে এফআইআর নিতে অস্বীকার করে বলে অভিযোগ ।
অন্যদিকে বাংলাদেশের রংপুর জেলার মিঠাপুকুর উপজেলার ১৬ নম্বর মির্জাপুর ইউনিয়নের অন্তর্গত বৈরাতীহাট জাহাঙ্গীরবাদ সড়ক সংলগ্ন রতিয়া মডেল গ্রামে একটি মন্দিরে হামলা চালিয়েছে ইসলামি কট্টরপন্থীরা । গ্রামের রতিয়া সার্বজনীন কালী মন্দিরের লোহার দরজার গ্রীল ভেঙ্গে ভিতরে ঢুকে দেবদেবীর প্রতিমা ভেঙে গুঁড়িয়ে দেয় জিহাদিরা । বিষয়টি স্থানীয় থানায় জানিয়েছেন মন্দির কর্তৃপক্ষ । কিন্তু এখানোও নির্বিকার ভূমিকায় দেখা গেছে বাংলাদেশ পুলিশকে ।।