তুমি কি আমার রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ?
সেই ছোট থেকে মায়ের মুখে তোমার নাম শুনে বড় হয়েছি ।
বোশেখের পঁচিশ, ওই দিন তোমার ছবিতে মাল্যদান করে তোমার চরণেই পড়ে থেকেছি ।
আকাশে বাতাসে কতো না গানের কলি অজান্তেই সুরে সুরে ভেসে আসতো কানে।
আজ বুঝি তোমায় ছাড়া জীবন অন্ধকার।
তোমাতেই আমি মরি।
তুমি তো বিশ্বজয়ী।
অসম্ভব সৃষ্টি ক্ষমতা তোমার। তুমি আমাদের অহংকার। শব্দভান্ডার সাজিয়ে তুমি সঞ্চয় করেছো মান সম্মান।
তোমায় পেয়ে আমরা গৌরবান্বিত।
তোমার সহস্র ক্ষুরধার কবিতা, উপন্যাস, গল্প বজ্রের মতো সাহিত্যপ্রেমীদের মনে গেঁথে রয়েছে।
অভিলাষ দিয়ে জীবনী শুরু গীতাঞ্জলী কাব্যগ্ৰন্থের ইংরাজী অনুবাদের জন্য তোমাকে নোবেল পুরস্কারে ভুষিত করেছিলেন। বাংলা ভাষায় সর্বশ্রেষ্ঠ সাহিত্যিক তো তুমিই।
সৃষ্টি তোমার স্রষ্ঠাও তুমি।
প্রতিটি লোমকূপে জড়িয়ে আছো।
নৈবেদ্য সাজিয়েছিলে নিজের সবটুকু উজাড় করে ।
চোখের বালির মতো উপন্যাস উপহার দিয়েছো।
মা হারা গোরা বিদেশী হলেও ব্রাহ্মণ পরিবারের সংস্কার পেয়েছিলেন ।
নৌকাডুবিতে লন্ডভন্ড হয়েও সব হারিয়ে রমেশ আর কমলা একে অপরের জন্য বেঁচে থাকার কাহিনী আজ ও মানুষের মনে জায়গা পূরণে রপ্ত।
এমন তোমার বহু উপন্যাস গল্প নিয়ে প্রতিনিয়ত আমরা বেঁচে থাকি। রসদ খুঁজে পাই ।
বাঁচিয়ে রাখবো তোমার শেষ চিঠি টুকু।
তোমার হাতে কলম নয় ছিল ব্রহ্মাস্ত্র।
তাই তো আজ ও শয়নে স্বপনে তোমাকেই খুঁজি।
অতীতেও তুমি ছিলে বর্তমানেও আছো আর ভবিষ্যতেও তোমার লেখা সাহিত্য নিয়ে ডুব দিয়ে অমৃতসুধা পান করতে চাই ।।