এইদিন ওয়েবডেস্ক,সাগর(মধ্যপ্রদেশ),০১ এপ্রিল : মধ্যপ্রদেশের সাগরে ৭ দিন ধরে শ্রীমদ ভাগবত কথার আয়োজন করেছিলেন বাগেশ্বর ধাম সরকার তথা পণ্ডিত ধীরেন্দ্র কৃষ্ণ শাস্ত্রী । রবিবার ছিল অনুষ্ঠানের শেষ দিন । এই শেষ দিনে তাঁর হাত ধরে হিন্দুধর্মে ফিরলেন প্রলোভনের ফাঁদে পড়ে খ্রিস্টান হওয়া ৫০ টি পরিবারের প্রায় ৯৫ জন ব্যক্তি । ধীরেন্দ্র কৃষ্ণ শাস্ত্রী কপালে তিলক ও হলুদ উত্তরীয় পরিয়ে তাদের হিন্দুধর্মে স্বাগত জানান । মঞ্চ থেকে হিন্দু ধর্মে ফিরে আসা লোকজনের সঙ্গে মতবিনিময় করেন পণ্ডিত ধীরেন্দ্র কৃষ্ণ শাস্ত্রী। তিনি বললেন,’ভবিষ্যতে যদি কোনো বড় প্রলোভন দেখা দেয়, তাহলে কি আপনারা আবার যাবেন ?’ জবাবে লোকেরা বলেন, ‘আমরা আপনার অনুপ্রেরণায় সনাতন ধর্মে এসেছি, আর কখনও ফিরে যাব না।’ তখন শ্রীমদ ভাগবত কথায় উপস্থিত হাজার হাজার মানুষ ‘জয় শ্রী রাম’ স্লোগান দেয় । এরপর হিন্দু ধর্মের স্বচ্ছল মানুষদের কাছে শাস্ত্রীজি আহ্বান জানান তারা যেন নিজের ধর্মের আর্থিক ভাবে দূর্বলদের দিকে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেয় । সাগর শহরের বিহারী নগরে শ্রীমদ ভাগবত কথার আয়োজন করা হয়েছিল ।
সাগর জেলার বডোনা এলাকার বাসিন্দা ভগবান দাস সেন,শাহগড়ের আরেক ধর্মান্তরকারী গুলাবরানি আহিরওয়াররা জানান,মিশনারীর লোকেরা তাদের সন্তানদের ভালো শিক্ষা, কর্মসংস্থানের জন্য ছাগল বিতরণ ছাড়াও মশারি, কম্বল প্রভৃতি সামগ্রী দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে খ্রিস্টান ধর্মে ধর্মান্তরিত করা হয়েছিল । ধর্মান্তরিত হওয়ার পর পরিবারের মহিলাদের সিঁদূর মুছতে ও শাঁখাপলা খুলতে বলা হয় । বাড়ি থেকে সমস্ত দেবদেবীর ছবি ও মূর্তি সরিয়ে ফেলতে বলা হয় । তাদের কথায়, ‘মিশনারীর লোকেরা আমাদের একটি পুকুরে ডুব দিতে বলল, তারপর তারা বলল, আমরা খ্রিস্টান হয়ে গেছি । তারপর থেকে আমরা চার্চে যেতে শুরু করি ।’ ধর্মান্তরিত দয়াল ও নোনেলাল আহরিওয়াররা বলেন,’মিশনারীর নিরীহ হিন্দুদের প্রলুব্ধ করে এই বলে যে খ্রিস্টান হলে বিভিন্ন সুযোগ সুবিধা দেবে। তারা আমাদের মধ্যে ছাগল, মশারি, কম্বল এবং অন্যান্য সামগ্রী বিতরণও করে । তারা বলেছিল যে নিয়মিত চার্চে আসতে হবে,তবেই সব সুবিধাগুলি দেওয়া হবে ।’
গুলাবরানি আহিরওয়ার বলেন,’ধর্মান্তরিত করার দিনে মিশনারীরা আমাকে পুকুরের জলে ডুব দিতে বলে এবং বলে, আমি খ্রিস্টান হয়েছি এবং আমি ধর্মান্তরিত হয়েছি । তারা আমাকে আমার কপালের টিপ, পায়ের আংটি, চুড়ি এবং মঙ্গলসূত্র খুলে ফেলতে বলে । তখন আমি তাদের কথা মেনে নিলেও আমি কখনই এইগুলি পরা বন্ধ করিনি । পরে বাড়ি ফিরে এসে আমার অলঙ্কারগুলি ফের পরিধান করি।’।