এইদিন ওয়েবডেস্ক,ইংরেজবাজার,৩০ এপ্রিল : স্ত্রী বাপেরবাড়ি থেকে কিছুতেই ফিরতে চাইছিল না । অনেক অনুনয় বিনয় করেও স্ত্রীকে রাজি করাতে পারেনি স্বামী । সেই রাগে একটি কুড়ুল নিয়ে স্ত্রী সহ শুশুরবাড়ির লোকজনদের একে একে কোপাতে শুরু করে জামাই । ঘটনাস্থলেই এক কিশোরী ও এক মহিলার মৃত্যু হয় । গুরুতর জখম হন স্ত্রী । এরপর শ্বশুরবাড়ির ছাদ থেকে ঝাঁপ দিয়ে পালানোর চেষ্টা করে ঘাতক জামাই । কিন্তু ছাদ থেকে নিচে পড়তে তারও মৃত্যু হয় । শনিবার সন্ধ্যায় চাঞ্চল্যকর এই ঘটনাটি ঘটেছে মালদা জেলার ইংরেজবাজার থানার কমলাবাড়ি বাঁধাপুকুর এলাকায় । হামলাকারী যুবকের নাম টুবাই মণ্ডল (৩৫) । রবিবার মৃতদেহগুলি ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছে পুলিশ ।
জানা গেছে,টুবাই মণ্ডল পরিযায়ী শ্রমিক । বেশিরভাগ তিনি ভিন রাজ্যে থাকেন । মাঝে মধ্যে বাড়ি ফেরেন । কমলাবাড়ি বাঁধাপুকুর এলাকার বাসিন্দা নির্মলার সঙ্গে বছর খানেক আগে বিয়ে হয় টুবাইয়ের । বিয়ের মাস খানেক পরেই ফের কর্মস্থলে চলে যায় । এদিকে কয়েকমাস শ্বশুরবাড়িতে থাকার পর বাপের বাড়ি চলে আসেন নির্মলা । তারপর থেকে তিনি বাপের বাড়িতেই ছিলেন । এদিকে সম্প্রতি টুবাই মণ্ডল বাড়ি ফেরেন । স্ত্রী নেই দেখে তিনি তাকে শ্বশুরবাড়ি থেকে আনতে যান । কিন্তু স্ত্রীকে কিছুতেই ফেরাতে রাজি করাতে পারছিলেন না ওই যুবক ।
পরিবার সূত্রে জানা গেছে,শনিবার সন্ধ্যায় স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে এনিয়ে তুমুল বচসা শুরু হয় । তারই মাঝে শ্বশুরবাড়ির একটা কুড়ল নিয়ে স্ত্রী নির্মলাকে কোপাতে শুরু করে সে । এক কিশোরী ও শ্বশুরবাড়ির এক মহিলা এসে নির্মলাকে বাঁচাতে আসে । তখন ওই দু’জনকেও কুড়ুল দিয়ে এলোপাথাড়ি কোপায় ওই যুবক । আহতদের আর্ত চিৎকারে লোকজন জড়ো হতে শুরু করেছে দেখে তিনজনকে রক্তাক্ত অবস্থায় ফেলে সোজা শ্বশুরবাড়ির ছাদে উঠে যায় ওই যুবক । তারপর সে পালানোর জন্য ছাদ থেকে লাফিয়ে পড়ে । সে গুরুতর আহত অবস্থায় ঘটনাস্থলেই পড়ে থাকে । এদিকে খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে আহত ৪ জনকে উদ্ধার করে মালদা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে নিয়ে গেলে কিশোরী,এক মহিলা ও হামলাকারী যুবককে মৃত বলে ঘোষণা করে । জখম নির্মলা মণ্ডল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। তার অবস্থাও আশঙ্কাজনক বলে জানা গেছে ।।