এইদিন ওয়েবডেস্ক,ইসলামাবাদ,৩০ এপ্রিল : মুসলিম রাষ্ট্র পাকিস্থানে ক্রমবর্ধমান ধর্ষণের ঘটনা উদ্বেগের সৃষ্টি করেছে । প্রতি দুই ঘণ্টায় একজন নারী ধর্ষণের শিকার হচ্ছে । বাদ যাচ্ছে না নিহত শিশু, কিশোরী, প্রৌঢ়া এবং বৃদ্ধারাও । কবর থেকে মৃতদেহ তুলে ধর্ষণ করতে শুরু করেছে পাকিস্তানের কামোন্মাদ মানুষ । এখন পরিবারের নিহত মহিলাদের মৃতদেহের সম্ভ্রম বাঁচাতে কবরে তালা লাগাতে শুরু করে দিয়েছে পরিবারের লোকজন । ‘আল্লাহর অভিশাপ- আমি কেন ইসলাম ত্যাগ করলাম’ (The Curse of God -Why I left Islam ) গ্রন্থের লেখক প্রাক্তন ইসলামি যুবক হারিস সুলতান (Harris Sultan) একটি তালাবন্ধ কবরের ছবিসহ টুইট করেছেন, ‘পাকিস্তান এমন একটি শৃঙ্গাকার, যৌন হতাশাগ্রস্ত সমাজ তৈরি করেছে যে, লোকেরা এখন তাদের মেয়েদের কবরে তালা লাগাচ্ছে যাতে তারা ধর্ষিত না হয়। আপনি যখন বোরখাকে ধর্ষণের সাথে যুক্ত করেন, তখন এটি আপনাকে কবরের দিকে নিয়ে যায় ।’
তবে পাকিস্তানে মৃতদেহের সাথে ধর্ষণের ঘটনা আজকের নয়,বরঞ্চ বহুদিন ধরেই ঘটে আসছে । ২০১১ সালে এক মহিলার মৃতদেহ কবর থেকে তুলে ধর্ষণের ঘটনায় কবরের পাহারাদার মোহাম্মদ রিজওয়ানকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল । রিজওয়ান পুলিশের জেরায় স্বীকার করে যে সে ওই মহিলার মৃত শরীরের সাথে ৪৮ বার ধর্ষণ করেছিল । ২০২১ সালের আগস্টে পাকিস্তানের জেলা শহর ঠাটটায় (Thatta) মৃত ১৪ কিশোরীর দেহ কবর থেকে তুলে ধর্ষণ করে মহম্মদ রফিক নামে এক ব্যক্তি । পাকিস্থানের ডন পত্রিকায় সেই খবর প্রকাশিত হয়েছিল । এরপর ২০২২ সালের মে মাসে পাকিস্থানের অন্য এক কিশোরীর মৃতদেহ গনধর্ষণ করার অভিযোগে ১৭ জন ব্যক্তিকে গ্রেফতার করা হয় । এর বাইরেও বহু ঘটনা আছে যেগুলি মিডিয়ার নজর এড়িয়ে যায় বলে জানিয়েছেন দেশের শুভবুদ্ধি সম্পন্ন মানুষ ।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন,পাকিস্তানে এই ধরনের ঘটনা ঘটেছে মূলত নেক্রোফিলিয়া (necrophilia) রোগের কারনে । গ্রীক ভাষায়, নেক্রো শব্দের অর্থ মৃতদেহ এবং ফিলিয়া অর্থ ভালবাসা । অর্থাৎ মৃত মানুষের সাথে প্রেম করা বা সহবাস করার ইচ্ছা জাগাই হল নেক্রোফিলিয়া রোগের লক্ষণ । আর পাকিস্তানের এই রোগের উত্তরোত্তর বৃদ্ধির জন্য ইসলামিক মৌলবাদী মতাদর্শ ও ব্যাপক হারে বিভিন্ন পশুপাখির মাংস ভক্ষণকেই দায়ি করেছেন তারা ।।