দিব্যেন্দু রায়,কেতুগ্রাম(পূর্ব বর্ধমান),১৮ এপ্রিল : স্ত্রীকে বাইকের পিছনে বসিয়ে আত্মীয়ের বাড়ি যাচ্ছিলেন স্বামী । রাস্তার মাঝে স্পিড ব্রেকার টপকে আপন খেয়ালে বাইক চালাচ্ছিলেন চালক । এদিকে রাস্তার মাঝে স্পিড ব্রেকার টপকানোর সময় ঝাঁকুনিতে চলন্ত বাইক থেকে পড়ে তার স্ত্রীর রাস্তাতেই মৃত্যু হয় । কিছুটা দূরে যাওয়ার পর পিছন থেকে কোনো সাড়াশব্দ না পেয়ে চালক ঘুরে দেখেন তাঁর স্ত্রী নেই । এরপর বেশ কিছুটা পিছিয়ে এসে রাস্তার মাঝে ওই স্পিড ব্রেকারের কাছে স্ত্রীকে রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখেন বাইক চালক । স্থানীয় বাসিন্দাদের সহায়তায় তড়িঘড়ি গৃহবধূকে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় । কিন্তু শেষ রক্ষা হয়নি । মঙ্গলবার সকালে মর্মান্তিক এই দুর্ঘটনাটি ঘটেছে কাটোয়া- বোলপুর রোডে কেতুগ্রামের বারান্দা গ্রামের কাছে । নিহত গৃহবধূর নাম গীতা প্রামানিক(৪০) । কাটোয়ার আমূল গ্রামে তাঁর বাড়ি ।
জানা গেছে,আমূল গ্রামের বাসিন্দা পেশায় সেলুন মালিক ধানু প্রামানিকের এক আত্মীয়ের এদিন মৃত্যু হয় । তাই এদিন সকালে স্ত্রীকে বাইকের পিছনে চাপিয়ে কেতুগ্রামের পুরুল গ্রামে ওই আত্মীয়ের বাড়ি যাচ্ছিলেন ধানুবাবু । কেতুগ্রামের বারান্দা বাসস্ট্যান্ড পেড়িয়ে কিছুটা যাওয়ার পরই ধানুবাবু খেয়াল করেন পিছনে তাঁর স্ত্রী নেই । ফের তিনি বাইক ঘুরিয়ে বারান্দা বাসস্ট্যান্ড মুখে যান । তখন রাস্তার মাঝে একটা স্পিডব্রেকারের কাছে স্ত্রীকে রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখেন । তারপর মহিলাকে উদ্ধার করে তড়িঘড়ি কাটোয়া মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় । কিন্তু চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন । পরে মৃতদেহটি ময়নাতদন্তের জন্য পাঠায় পুলিশ । মর্মান্তিক এই ঘটনায় শোকস্তব্ধ নিহতের পরিবার পরিজন ও প্রতিবেশীরা ।
এদিকে এই ঘটনার পর সড়ক পথের মাঝে অগনিত স্পীড ব্রেকার নির্মানের যৌক্তিকতা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে এলাকায় । পাশাপাশি জানা গেছে, বাইক চালক ধানু প্রামানিকের মাথায় হেলমেট থাকলেও তাঁর স্ত্রী গীতাদেবীর মাথায় হেলমেট ছিল না । চিকিৎসকরা জানান মাথায় গুরুতর আঘাতের কারনেই মৃত্যু হয়েছে তাঁর । ফলে প্রশাসনিকভাবে বারবার সতর্ক করা সত্ত্বেও বাইক আরোহীদের মানসিকতা নিয়েও প্রশ্ন উঠছে ।।