জ্যোতি প্রকাশ মুখার্জ্জী,মঙ্গলকোট(পূর্ব বর্ধমান),১৮ এপ্রিল : সরকারি খাতায় পোশাকি নাম বিপুলানন্দ সরকার হলেও আট থেকে আশি সবার কাছে তিনি ‘সাধু’ বাবু নামেই জনপ্রিয় ছিলেন। এমনকি তাদের তাঁর সহকর্মীরা তাঁকে সাধু বলেই সম্বোধন করতেন। পূর্ব বর্ধমান জেলার পশ্চিম মঙ্গলকোটের জয়পুর গ্রামের বাসিন্দা ‘সাধু’বাবু সোমবার ( ১৭ এপ্রিল ২০২৩) বিকেল ৩ টা নাগাদ নিজ বাসভবনে না ফেরার দেশে চলে গেলেন । মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৯২ বছর। তিনি রেখে গেলেন স্ত্রী, দুই পুত্র, পুত্র বধূ, কন্যা, নাতি, নাতবৌ, নাতির দুই পুত্র এবং অসংখ্য গুণমুগ্ধ ছাত্রছাত্রী। তাঁর মৃত্যুতে এলাকায় নেমে এসেছে শোকের ছায়া।
পারিবারিক সূত্রে জানা যাচ্ছে, বয়স হলেও তিনি মোটামুটি সুস্থই ছিলেন। কিন্তু দিন পনেরো আগে বাথরুমে পড়ে যাওয়ার পর থেকেই তার স্বাস্থ্যের অবনতি হয়। পুরোপুরি শয্যাশায়ী হয়ে পড়েন তিনি ।
পশ্চিম মঙ্গলকোটের গণপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের বাংলার শিক্ষক ছিলেন বিপুলানন্দ সরকার । বাংলা ছাড়াও অঙ্ক, ইংরেজি ও সংস্কৃততেও তাঁর দখল ছিল । ছাত্রদের প্রতি দরদ ছিল দেখবার মত। শুধু তাই নয় একজন দক্ষ শিল্পী ফুটবলার ছিলেন বিপুলানন্দবাবু । একসময় মোহনবাগান জুনিয়র টিমে তিনি খেলতেন । শিক্ষক হিসাবে এলাকায় তিনি যথেষ্ট জনপ্রিয় ছিলেন ।
নিহতের প্রপ্রৌত্র প্রেমাঙ্কুর (টুবলু) বললেন, আমি যেটুকু শিক্ষাগত যোগত্যা অর্জন করেছি, তা সবই দাদুর কল্যাণে । আজ দাদুর মৃত্যুতে নিজেকে বেশ অসহায় লাগছে।’।