প্রদীপ চট্টোপাধ্যায়,বর্ধমান,১৭ এপ্রিল : গাজনে শিশুর মৃতদেহ নিয়ে নাচানাচির ঘটনা নিয়ে এবার কড়া পদক্ষেপ নিল রাজ্য শিশু অধিকার কমিশন।শিশুর মৃতদেহ নিয়ে বৃহস্পতিবার বর্ধমানের কুড়মুনের গাজনে সন্যাসীদের নাচানাচি নিয়ে ক্ষুব্ধ কমিশনের চেয়ার পার্সন বর্ধমান-১ ব্লকের বিডিওকে ই-মেইলে চিঠি পাঠিয়ে ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বলেন।চিঠি পেয়েই বিডিও ততক্ষনাৎ বিষয়টি দেওয়ানদিঘী থানায় জানায় । এর পরেই কমিশনের নির্দেশ মতো দেওয়ানদিঘি থানা ভারতীয় দণ্ডবিধির ২৬৯, ২৭৮, ২৯০, ২৯৪, ২৯৭ ও ৩৪ ধারায় মামলা রুজু করে।তবে এখনও কেউ গ্রেপ্তার হয়নি। দেওয়ানদিঘি থানার এক অফিসারের কথায় নির্দিষ্ট ধারায় মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু হয়েছে।ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনমাফিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এলাকার বাসিন্দাদের কথায় জানা গিয়েছে, প্রায় আড়াইশো বছর ধরে কুড়মুনের গাজনে মরদেহের খুলি ও দেহাংশ নিয়ে উদ্যাম নৃত্য হয়ে আসছে। গাজনে অংশ নেওয়া সন্যাসীরা খুলি নিয়ে লোফালুফি করেন।মৃতদেহ নিয়েও নাচানাচি চলে। এরজন্য বিভিন্ন জায়গার শ্মশান সহ নানা জায়গা থেকে দেহ তুলে আনে সন্যাসীরা। গাজনের পর তারা তা অবশ্য ফের পুঁতে দেন।
এই বছরের গাজন হয় বৃহস্পতিবার। ওই দিন কুড়মুনের গাজনে একটি বাচ্চা ছেলের দেহ নিয়ে সন্যাসীদের নাচানাচি করতে দেখা যায়। তার ভিডিও সমাজমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। ওই গাজনে বহু শিশুও উপস্থিত ছিল। শিশুমনে এর তীব্র প্রভাব পড়ে। সমাজমাধ্যমে বিষয়টি নিয়ে তীব্র সমালোচনা হয়। এরপরই নড়েচড়ে বসে শিশু অধিকার কমিশন।
কমিশনের চেয়ার পার্সন বিষয়টি নিয়ে বর্ধমান-১ বিডিওর কাছে জানতে চান। বিডিও বিষয়টি নিয়ে থানার কাছে রিপোর্ট চেয়ে পাঠান। থানা তদন্ত করে ঘটনার সত্যতা খুঁজে পায়। সেদিন যে গাজনে শিশুর মৃতদেহ নিয়ে সন্যাসীরা নাচানাচি করছিল তা পুলিশের তদন্তে উঠে আসে।এর পরেই কমিশন কড়া পদক্ষেপের নির্দেশ দেয় ।।