এইদিন ওয়েবডেস্ক,কিতো,১৬ এপ্রিল : ইকুয়েডরের গুয়াকিল বন্দরের একটি কারাগারে শনিবার বন্দিদের মধ্যে সংঘর্ষের ফলে কমপক্ষে ১২ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছেন ইকুয়েডরের অ্যাটর্নি জেনারেল । এর আগে গত সপ্তাহে বুধবার সংঘর্ষের পর কারাগারে ছয় বন্দিকে ফাঁসিতে ঝুলন্ত অবস্থায় পাওয়া যায় । আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী,সংঘর্ষের পর শনিবার গভীর রাতে পুলিশ এবং সেনাবাহিনী এই কারাগারের নিয়ন্ত্রণ নিলে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয় । ওই কারাগারে প্রায় ৬,৮০০ বন্দী রয়েছে ।
বিশ্বের প্রধান কোকেন উৎপাদক দেশ কলম্বিয়া এবং পেরুর মধ্যে অবস্থিত গুয়াকিল বন্দর সাম্প্রতিক বছরগুলোতে ইকুয়েডরে মাদক পাচারের কেন্দ্রে পরিণত হয়েছে । ইকুয়েডরের কারাগারগুলির বন্দিরা মূলত মাদক পাচারের সঙ্গে যুক্ত । আর জেলবন্দি মাদক মাফিয়াদের মধ্যে প্রতিযোগিতার কারনে প্রায়ই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে থাকে । রিপোর্ট অনুসারে,২০১৯ সাল থেকে এই কারাগারে আটটি খুনের ঘটনা নথিভুক্ত করা হয়েছে এবং ৪০০ টিরও বেশি বন্দীর মৃতদেহ টুকরো টুকরো করা হয়েছে বা পুড়িয়ে ফেলা হয়েছে ।
গত মাসে গুয়াসে প্রায় ১২০ জন বন্দীকে হত্যা করা হয়েছিল । এটিই ছিল ল্যাটিন আমেরিকার দেশগুলির ইতিহাসের সবচেয়ে ভয়ঙ্কর গণহত্যা ।
গত বছর জাতিসংঘের একটি প্রতিনিধি দল ঘোষণা করেছিল যে ইকুয়েডরের কারাগারে হিংসার ঘটনা বিচারব্যবস্থার প্রতি ইকুয়েডরের সরকারের বছরের পর বছর ধরে অবহেলার ফলশ্রুতি । ২০২২ দেশের প্রথম কারাগারের আদমশুমারি অনুসারে, যা ইকুয়েডরের ৩৬ টি কারাগারে প্রায় ৩১,০০০ বন্দী রয়েছে । যেখানে ৩০,০০০ মানুষের ধারন ক্ষমতা রয়েছে জেলগুলিতে ।।