প্রদীপ চট্টোপাধ্যায়,বর্ধমান,২৬ মার্চ : তৃণমূল করার অপরাধে দম্পতিকে মারধোর ও হাঁসুয়ার কোপ মেরে জখম করার অপরাধে গ্রেপ্তার হলেন তিন বিজেপি কর্মী।বৃহস্পতিবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে পূর্ব বর্ধমানের মন্তেশ্বর থানার সোনাডাঙ্গা এলাকায়। ধৃতরা হল হাসান শেখ ,জসিমউদ্দিন শেখ ও গিয়াসউদ্দিন শেখ ।এরা সকলে সোনাডাঙ্গা এলাকারই বাসিন্দা ।সুনির্দিষ্ট ধারায় মামলা রুজু করে পুলিশ শুক্রবার তিন ধৃতকেই পেশ করে কালনা মহকুমা আদালতে । হাঁসুয়ার কোপে গুরুতর জখম তৃণমূল কর্মী মইনুদ্দিন শেখের স্ত্রী সাকিলা বেগম শেখকে চিকিৎসার জন্য বর্ধমান মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে ।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানাগিয়েছে, মইনুদ্দিন শেখ এর বাড়ি মন্তেশ্বরের সোনাডাঙ্গায় । তিনি তৃণমূল কংগ্রেস দলের সক্রিয় কর্মী। মইনুদ্দিনের অভিযোগ তিনি ও তাঁর পরিবার তৃণমূল করার জন্য এলাকার বিজেপির লোকজন প্রায়শই তাকে গালমন্দ করতো । বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ফের গলমন্দ করলে মইনুদ্দিন তার প্রতিবাদ করে ।অভিযোগ তখনই হাসান শেখ ,জসিমউদ্দিন শেখ ও গিয়াসউদ্দিন শেখ তাকে মারধোর শুরু করে । তা দেখে মইনুদ্দিনের স্ত্রী সাকিলা বেগম স্বামীকে বাঁচাতে যায়। ওই সময়ে অভিযুক্তরা সাকিলাকে হাঁসুয়ার কোপ মারে বলে অভিযোগ । পরিবারের লোকজন রক্তাক্ত অবস্থায় সাকিলাকে উদ্ধার করে মন্তেশ্বর হাসপাতালে নিয়ে যায় । আঘাত গুরুতর থাকায় তাকে বর্ধমান হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়।ঘটনা বিষয়ে আক্রান্তরা মন্তেশ্বর থানায় অভিযোগ দায়ের করলে পুলিশ তিনজনকে গ্রেপ্তার করে ।
এলাকার তৃণমূল নেতা মুস্তাক আহমেদ সেখ বলেন,“এই দম্পতি তৃণমূল করে এই অপরাধে বিজেপির লোকজন তাদের গালমন্দ করতো।তার প্রতিবাদ করায় বিজেপির লোকজন দম্পতিকে মারধোর করে । হাঁসুয়ার কোপ মেরে বিজেপির লোকজন সাকিলা বেগমকেও
জখম করে” । যদিও এলাকার বিজেপি নেতা সঞ্জীব হাজরা বলেন,’অভিযোগ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন ।ভোটের মুখে বিজেপি কর্মীদের মিথ্যা মামলায় ফাঁসাতেই তৃণমূল পরিকল্পনা মাফিক এই ঘটন ঘটিয়েছে।’।