এইদিন ওয়েবডেস্ক, ভাতার(পূর্ব বর্ধমান) ১২ এপ্রিল : স্বামী সহ শ্বশুরবাড়ির লোকজনদের বিরুদ্ধে বধূ নির্যাতন সহ ঘরের আলমারি ভেঙে গহনা চুরির অভিযোগ এনেছিলেন বধূ। কলকাতার নরেন্দ্রপুর থানায় দায়ের করা অভিযোগের ভিত্তিতে আদালতের নির্দেশে চুরি যাওয়া ওই গহনা উদ্ধার করতে বুধবার পূর্ব বর্ধমানের ভাতার থানার কালীপাহাড়ি গ্রামে অভিযুক্তদের বাড়িতে হানা দিল পুলিশ। এদিন ভাতার থানার পুলিশের সহযোগিতা নিয়ে নরেন্দ্রপুর থানার পুলিশ অভিযুক্তদের বাড়িতে তল্লাশি চালায়। তবে শেষপর্যন্ত কোনও গহনা উদ্ধার হয়নি।ঘটনা ঘিরে চাঞ্চল্য এলাকায়।
ফিরোজা খান (দে ) নামে ওই বধূর বাপের বাড়ি কলকাতার গড়িয়াহাট এলাকায়।তিনি জানান বছর তিনেক আগে তার সঙ্গে ফেসবুকে আলাপ হয়েছিল ভাতারের কালীপাহাড়ি গ্রামের বাসিন্দা কৃষানু দে নামে এক যুবকের সঙ্গে। কৃষাণু বেসরকারি সংস্থায় কাজ করতেন। আলাপ থেকে প্রেম। তারপর বছর দুয়েক আগে ফিরোজার সঙ্গে কৃষাণুর বিয়ে হয়। বধূর জানিয়েছেন তিনি মুসলিম হলেও বাপেরবাড়ির অমতেই কলকাতার কালীঘাটে মন্দিরে হিন্দু মতে কৃষাণুর সঙ্গে তিনি বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন। যদিও এই সম্পর্ক মেনে নিতে পারেননি কৃষাণুর পরিবার। ফিরোজা জানিয়েছেন বিয়ের পর তারা স্বামী স্ত্রী কলকাতায় ঘরভাড়া করে থাকছিলেন। ২০২০ সালের শেষের দিকের ঘটনা। কৃষাণু তার মায়ের অসুস্থতার কারণে বাড়ি চলে আসেন। তারপর স্ত্রীর কাছে যাননি। ২০২১ সালের জানুয়ারি মাসের প্রথমদিকে ফিরোজা তখন কালীপাহাড়ি গ্রামে শ্বশুরবাড়ির সামনে ধর্ণায় বসেন স্বামীকে ফিরিয়ে নিয়ে যাওয়ার দাবিতে। তবে তখন কৃষাণুর সঙ্গে মুখোমুখি হওয়ার সুযোগ পাননি ফিরোজা। তিনি ফিরে যান কলকাতায়।
গৃহবধূর বক্তব্য শুনুন 👇
ফিরোজার দাবি ওই ঘটনার পরেও তার স্বামী তার সঙ্গে কিছুদিন যোগাযোগ রেখেছিলেন। কলকাতায় ভাড়া বাড়িতে থাকাকালীন কৃষানুর আত্মীয়-স্বজনরা আসা যাওয়া করতেন । ফিরোজার অভিযোগ এই টানাপোড়েনের মাঝেই ২০২১ সালে ডিসেম্বর মাস নাগাদ কৃষ্ণানুর পরিবারের সদস্যরাও কলকাতায় তার বাড়িতে গিয়েছিলেন। আর তখন তার অনুপস্থিতির সুযোগে ঘরের আলমারি ভেঙ্গে গহনা সামগ্রী ও কিছু নগদ অর্থ নিয়ে চম্পট দেয় কৃষাণু ও তার এক আত্মীয়। এরপরই ওই বধূ অভিযোগ দায়ের করেন স্বামী, শ্বশুর , শাশুড়ি ও মামাশ্বশুরের বিরুদ্ধে। বধূ নির্যাতন , মারধর ও চুরির অভিযোগে মামলা হয় নরেন্দ্রপুর থানায়। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে আদালতের নির্দেশে বুধবার ওই ফিরোজাকে সঙ্গে নিয়ে নরেন্দ্রপুর থানার পুলিশ আসে ভাতারে। ভাতার থানার পুলিশের সহযোগিতায় কালীপাহাড়ি গ্রামে গহনা উদ্ধারে যায় পুলিশবাহিনী। যদিও কৃষাণু বাড়িতে ছিলেন না।পুলিশের কাছে তার বাবা মা দাবি করেন তারা কোনও গহনা চুরি করেনি।এসব মিথ্যা অভিযোগ।।