১০ বছরের কিশোরীকে ধর্ষণ, রক্তক্ষরণ বন্ধ করতে গোপনাঙ্গে বালি কাদা ঢুকিয়ে দিল ২৬ বছরের দিলখুশ জাররা

এইদিন ওয়েবডেস্ক,পূর্ণিয়া(বিহার),১১ এপ্রিল : পবিত্র রমজান মাসে ১০ বছরের এক কিশোরীর উপর পাশবিক অত্যাচার চালালো দিলখুশ জাররা (Dilkhush Zarra) নামে ২৬ বছর বয়সী এক যুবক । বিহারের পূর্ণিয়া জেলার ডাগারুয়া থানা এলাকার ঘটনা । ধর্ষণের পর কিশোরীর গোপনাঙ্গ থেকে প্রবল রক্তক্ষরণ শুরু হলে সেখানে বালি ও কাদা ঢুকিয়ে দেয় ধর্ষক । নির্যাতিতার মায়ের অভিযোগের ভিত্তিতে ধর্ষক যুবককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ । ধৃতের বিরুদ্ধে আইপিসি ধারা ৩৭৬ (ধর্ষণ) এবং যৌন অপরাধ থেকে শিশুদের সুরক্ষা (পকসো) আইনের ৬ ধারায় মামলা দায়ের করেছে পুলিশ ।
মিডিয়া রিপোর্টে জানা গেছে,পূর্ণিয়া জেলার ডাগারুয়া থানা এলাকার পাত্রিংগা (Patringa) এলাকার ২ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা আবিদ জাররার ছেলে দিলখুশ জাররা । ঘটনাটি ঘটে গত ৭ এপ্রিল । নির্যাতিতা কিশোরীর মা আনবারী খাতুনের পুলিশকে দেওয়া বয়ান অনুযায়ী, ওইদিন দুপুর ১ টা নাগাদ বাড়ি থেকে প্রায় দেড় কিলোমিটার দূরে ৫-৬ বন্ধুর সঙ্গে খেলাধুলা করছিল তার মেয়ে । সেই সময় সেখানে যায় দিলখুশ জাররা । অনান্য মেয়েদের ধমক দিয়ে সেখান থেকে চলে যেতে বলে তার মেয়েকে টেনে পাশের একটা খালে নিয়ে যায় ওই যুবক । তারপর সে তার মেয়েকে ধর্ষণ করে । মেয়ে সাহায্যের জন্য চিৎকার করতে শুরু করলে তার বন্ধুরা সেখানে উপস্থিত হয় । কিন্তু দিলখুশ তাদের হুমকি দেয় এবং মুখ বন্ধ রাখতে বলে ।
এদিকে নির্যাতিতার গোপনাঙ্গ থেকে প্রবল রক্তক্ষরণ শুরু হয় । তখন দিলখুশ তাড়াহুড়ো করে খাল থেকে বালি ও কাদা তুলে মেয়েটির গোপনাঙ্গে ভরে দেয় । জানা গেছে,নির্যাতিতা কিশোরী পাশবিক অত্যাচারে অজ্ঞান হয়ে গেলে তার সঙ্গীরা গ্রামে গিয়ে ঘটনার কথা জানিয়ে দেয় । এরপর কিশোরীর পরিবারের লোকজন ও গ্রামবাসীরা ঘটনাস্থলে ছুটে এলে ধর্ষক দিলখুশ জাররা চম্পট দেয় । পরে মেয়েটিকে উদ্ধার করে প্রথমে স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় । যেখান থেকে তাকে জিএমসিএইচ হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয় । চিকিৎসার পর কিশোরীকে হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দেওয়া হলে এনিয়ে থানায় এফআইআর নথিভূক্ত করে পরিবার । অভিযোগের ভিত্তিতে ধর্ষক যুবককে গ্রেফতার করে পুলিশ ।।