এইদিন ওয়েবডেস্ক,জামশেদপুর,১০ এপ্রিল : বিহারের সাসারামের পর এবার সাম্প্রদায়িক হিংসায় উত্তপ্ত হল ঝাড়খণ্ডের জামশেদপুর । মিডিয়া রিপোর্টে জানা গেছে,শনিবার জামশেদপুরের শাস্ত্রী নগর এলাকায় হিন্দুদের ধর্মীয় পতাকার সঙ্গে পশুর মাংসের টুকরো বাঁধা নিয়ে বিতর্কের সূত্রপাত । পতাকা অপবিত্র করার অভিযোগে প্রতিবাদ জানায় হিন্দু সংগঠনগুলো । অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানায় তারা । এদিকে হিন্দু সংগঠনের বিক্ষোভের খবর পাওয়া মাত্রই অন্য ধর্ম সম্প্রদায়ের লোকজন জড়ো হতে শুরু করলে দু’পক্ষের মধ্যে তুমুল সংঘর্ষ বেধে যায় । রবিবার পর্যন্ত তার জের চলে ।
জানা গেছে,সবচেয়ে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে জামশেদপুরের কদমা এলাকা । ওই এলাকায় ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে । বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে ইন্টারনেট পরিষেবা । পাশাপাশি সোশ্যাল মিডিয়ায় কোনও ধরণের বিভ্রান্তিকর এবং উস্কানিমূলক তথ্য শেয়ার না করার জন্য পুলিশের তরফে এলাকাবাসীর কাছে আবেদন জানানো হয়েছে । এসএসপি প্রভাত কুমারের উদ্ধৃতি দিয়ে এএনআই জানিয়েছে, জামশেদপুরে দুই গোষ্ঠীর মধ্যে পাথর ছোড়ার ঘটনা ঘটেছে । পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। যারা জড়ো হয়েছিল তাদের বাড়িতে থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। পুরো এলাকায় মোতায়েন করা হয়েছে ফোর্স, মোতায়েন রয়েছে র্যাফ-এর একটি কোম্পানি ।’ কিছু লোককেও আটক করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন এসএসপি । এএনআই জানিয়েছেন, ঝাড়খণ্ডে পাথর নিক্ষেপ ও অগ্নিসংযোগের ঘটনার পরে নিরাপত্তা বাহিনী জামশেদপুরের কদমা থানা এলাকায় পতাকা মিছিল পরিচালনা করে ।
অন্যদিকে ওপি ইন্ডিয়ার রিপোর্ট অনুযায়ী,রবিবারে জামশেদপুরে হিংসার পর ইফতার পার্টি থেকে মুখোশধারী জনতা বেরিয়ে এসে একটি মন্দিরে হামলা চালায় বলে অভিযোগ তুলেছে বিশ্ব হিন্দু পরিষদ (ভিএইচপি) । ভিএইচপি-র জামশেদপুর জেলা আধিকারিক সঞ্জীব কুমার দাবি করেছেন, মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেনের দল ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চার (জেএমএম) নেতা পবন কুমার এবং বাব্বান রাই মন্দির সংলগ্ন এলাকায় একটি ইফতার পার্টির আয়োজন করেছিলেন । আর সেই মন্দিরটিকেই আক্রমণ করা হয়েছে । তাঁর দাবি, ইফতার পার্টি থেকে বেরিয়ে আসা মুখে মুখোশ পরা জনতা প্রথমে মন্দিরে ঢিল ছোড়ে এবং পরে আশেপাশের দোকানে আগুন ধরিয়ে দেয় ।’ পাশাপাশি তিনি পুলিশের বিরুদ্ধে একতরফা ভাবে হিন্দুদের গ্রেফতার করা হচ্ছে বলে অভিযোগ তুলেছেন ।
সঞ্জীব কুমার ওপি ইন্ডিয়াকে বলেছেন,সামনে ঈদ আসায় চলে প্রশাসন অন্য সম্প্রদায়ের লোকজনের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে দ্বিধা করছে পুলিয়া । ভিএইচপি প্রচারণা প্রধান উত্তম দাস এবং বজরং দলের শহর আহ্বায়কসহ প্রায় ১০ জন হিন্দুকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে । আরও অনেক হিন্দু নেতাকে গ্রেফতারে অভিযান চলছে ।’ হিন্দুরা এখানে সহজ টার্গেট হয়ে গেছে বলে অভিযোগ সঞ্জীব কুমারের ।।