এইদিন ওয়েবডেস্ক,বারমের(রাজস্থান),০৯ এপ্রিল : রাজস্থানের বারমেরে এক দলিত মহিলাকে(৪৫) ধর্ষণের পর পুড়িয়ে খুন করার অভিযোগ উঠেছে শুকুর খান (৩০) নামে এক প্রতিবেশী যুবকের বিরুদ্ধে । ঘটনাটি ঘটেছে বৃহস্পতিবার (৬ এপ্রিল ২০২৩) সকালে । পুলিশ অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে । ধৃতের বিরুদ্ধে এসসি/এসটির আইনের অধীনে আইপিসির ৪৫০,৩৭৬(১),৩২৬-এ প্রভৃতি ধারায় মামলা দায়ের করা হয়েছে । নির্যাতিতা মারা যাওয়ায় অভিযুক্তের বিরুদ্ধে ধারা বাড়ানো হতে পারে । এদিকে পুলিশের বিরুদ্ধে দুর্ব্যবহারের অভিযোগ তুলেছে নিহতের পরিবার । পাশাপাশি ১ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ এবং পরিবারের একজনকে সরকারি চাকরি দেওয়ারও দাবি তুলেছে নিহতের পরিবার ও গ্রামবাসী ।
মিডিয়া রিপোর্ট অনুযায়ী,বারমেরের বালোত্রা শহরের বসবাস করতেন নিহত মহিলা । নিহত মহিলা ২ মেয়ে ও ২ ছেলের মা ছিলেন । একই পাড়ায় বাড়ি ধর্ষক শুকুর খানের । নিহত মহিলার স্বামী জানান, বৃহস্পতিবার তিনি কাজে বালোত্রা গিয়েছিলেন । শিশুরাও স্কুলে গিয়েছিল । প্রতিবেশীদের কাছে তিনি জানতে পারেন তার স্ত্রীর একা থাকার সূযোগে দুপুর ২ টা নাগাদ শুকুর খান তাদের বাড়িতে ঢুকে পড়ে । তিনি জানান,হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার স্ত্রী জানায় যে তাকে ঘরের ভিতরে নিয়ে গিয়ে জোর করে তার পোশাক খুলে উলঙ্গ করে শুকুর । শুকুর নিজেও জামাকাপড় খুলে ফেলে এবং তাকে ধর্ষণ করে ।
জানা গেছে,সেই সময় মহিলার চিৎকারে স্থানীয় এক প্রতিবেশী মহিলার বাড়িতে ছুটে আসে । কিন্তু শুকুর তাকে ধাক্কা দিয়ে মাটিতে ফেলে দেয় । এরপর শুকুর তার সঙ্গে আনা অ্যাসিড ঢেলে দেয় নির্যাতিতার শরীরে । তারপর আগুন ধরিয়ে দেয় । অ্যাসিডের সাথে থিনার জাতীয় দাহ্য তরল থাকায় নির্যাতিতার পোশাক দাউদাউ করে জ্বলতে শুরু করলে শুকুর পালিয়ে যায় । এরপর প্রতিবেশীরা ছুটে এসে আগুন নেভায় ।
জানা যায়,মহিলাকে প্রথমে স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় । সেখান থেকে যোধপুরে স্থানান্তরিত করা হয় । কিন্তু অবস্থার অবনতি হলে বালোত্রার একটি বেসরকারি হাসপাতালে তাকে ভর্তি করা হয়েছিল । সেখানেই চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয় । শুক্রবার স্থানীয় পাচপদ্রা থানায় ধর্ষক শুকুর খানের বিরুদ্ধে এফআইআর নথিভূক্ত করেন নিহত মহিলার স্বামী । অভিযোগের ভিত্তিতে ওইদিনই গ্রেফতার করা হয় অভিযুক্তকে ।।