এইদিন ওয়েবডেস্ক,সাতক্ষীরা,০৮ এপ্রিল : বাংলাদেশের সাতক্ষীরা-শ্যামনগর উপজেলা ভেটখালী বাজারে ‘সন্তোষ মণি জুয়েলার্স’-এর মালিক দীনেশ রায়কে দোকান থেকে গলা ধাক্কা দিয়ে বের করে দিয়ে ১২ লক্ষাধিক টাকা লুটপাট চালিয়ে চম্পট দিল আশরাফ মোল্লা নামে এক দুষ্কৃতী ও তার দলবল । দীনেশ রায় বাধা দিলে তাকে ব্যাপক মারধর করে আশরাফরা । বৃহস্পতিবার সকাল ১০ টা নাগাদ ভরা বাজারের মধ্যে একজন হিন্দু ব্যবসায়ীর দোকানে এমন দুঃসাহসিক ডাকাতির পর দেশের হিন্দুদের নিরাপত্তা নিয়ে ফের প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে । এ বিষয় শ্যামনগর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে । এদিকে ডাকাতির কথা মিডিয়ার কাছে কবুলও করেছে আশরাফ মোল্লা । তা সত্ত্বেও শনিবার পর্যন্ত তাকে গ্রেফতারের কোনো আগ্রহই দেখায়নি পুলিশ ।
মিডিয়া রিপোর্টে জানা গেছে, বৃহস্পতিবার সকাল ১০ নাগাদ একই ইউনিয়নের সোরা গ্রামের এশার আলী মোল্লার ছেলে আশরাফ মোল্লা,মহসীন মোল্লা, পলাশ মোল্লা সহ ২৫-৩০ জনের দুষ্কৃতীদের একটি দল দীনেশ রায়ে দোকানে হুড়মুড়িয়ে ঢুকে পড়ে । তারা দীনেশবাবুকে মারতে মারতে দোকানের বাইরে বের করে দিয়ে লুটপাট চালায় । দীনেশবাবু জানান,তার দোকানে নগদ এক লক্ষ ২০ হাজার টাকাসহ মোট ১১ থেকে ১২ লক্ষ টাকার মালপত্র লুটপাট করা হয়েছে । এদিকে ডাকাত দলের সর্দার আশরাফ মোল্লা দীনেশ রায়ের দোকানে ডাকাতির কথা স্বীকার করে মিডিয়াকে বলেছে,’যা করেছি বেশ করেছি । মামলা মোকদ্দমা যা হয় হোক,আমি পরোয়া করি না ।’
জানা গেছে, ডাকাতির ঘটনার পর আহত হিন্দু ব্যবসায়ী দীনেশ রায়কে শ্যামনগর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে । বর্তমানে তিনি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন । কিন্তু ভেটখালী বাজারে মুসলিমদের সোনারুপোর দোকান থাকলেও বেছে বেছে একজন হিন্দুর দোকানে প্রকাশ্যে দিবালোকে ডাকাতির পর বাংলাদেশের সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মানুষদের নিরাপত্তাহীনতার বিষয়টি ফের একবার চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিল । ঘটনার নিন্দা জানিয়েছে ভেটখালী বাজার ব্যবস্থাপনা কমিটি । তারা বিষয়টি ‘ন্যাক্কারজনক’ ও ‘অমানবিক’ বলে অবিহিত করেছে । শ্যামনগর থানা ওসি নুরুল হুদা বাদল বলেছেন ‘অভিযোগ পেয়েছি আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে ।’ কিন্তু এমন দুঃসাহসিক ডাকাতির পর দুষ্কৃতীরা বুক ফুলিয়ে ঘুরে বেরালেও শনিবার পর্যন্ত কেন তাদের গ্রেফতার করা হল না ? যদিও এই প্রশ্নের কোনো সদুত্তর পাওয়া যায়নি ওসি নুরুল হুদা বাদলের কাছ থেকে ।।