দিব্যেন্দু রায়,ভাতার(পূর্ব বর্ধমান),০৮ এপ্রিল : পূর্ব বর্ধমান জেলার ভাতার থানার ভুমশোর গ্রামে এক গৃহস্থের বাড়িতে দুঃসাহসিক চুরির ঘটনায় দু’জন স্বর্ণ ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ । তবে পুলিশ ধৃতদের নাম প্রকাশ করেনি । পুলিশের তরফে শুধু জানানো হয়েছে, ধৃতদের মধ্যে একজনের বাড়ি বর্ধমান থানার রায়ান গ্রামে। বর্ধমান শহরের দুবরাজদিঘি এলাকায় তার সোনারুপোর দোকান রয়েছে । দ্বিতীয়জনের বাড়ি বর্ধমানের কাঞ্চননগর রথতলা এলাকায় । তার দোকান রয়েছে বর্ধমানের মালিকবাগান এলাকায় । ধৃতদের কাছ থেকে চুরি যাওয়া ৭৮ গ্রাম সোনার গহনা ও দুটি ছোট হিরে উদ্ধার করেছে পুলিশ ।
চুরির ঘটনাটি ঘটে গতবছর অক্টোবর মাসে ভাতারের ভুমশোর গ্রামে ইসমাতারা বেগম নামে এক গৃহবধূর বাড়িতে । ইসমাতারা বেগম গতবছর অক্টোবর মাসের ১৮ তারিখে ভাতার থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন । অভিযোগ পত্রে তিনি জানান, তার স্বামী কবুল হোসেন শেখ কর্মসূত্রে ভিনরাজ্যে থাকেন ।
নাবালিকা মেয়ে নাসিমাকে নিয়ে বাড়িতে থাকেন তিনি । চুরির ঘটনার দিন কয়েক আগে তিনি বাড়িতে তালা লাগিয়ে মেয়েকে নিয়ে ঘাটশিলায় বাপেরবাড়িতে গিয়েছিলেন । প্রতিবেশীদের কাছে খবর পেয়ে ভুমশোরে ফিরে এসে দেখেন বাড়ির গেটসহ ঘরের একাধিক তালা ভাঙা । ঘরে ঢুকে দেখেন স্টীলের আলমারির লকারও ভাঙা রয়েছে । উধাও হয়ে গেছে তার প্রায় ১০ ভরি সোনার গহনা ।
শনিবার বর্ধমান শহরের বাদামতলায় নিজের দপ্তরে সাংবাদিক সম্মেলনে করে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কল্যাণ সিংহরায় জানান,ওই চুরির ঘটনায় গত মঙ্গলবার ভুমশোর গ্রামেরই বাসিন্দা কিসমত আলি মল্লিক নামে একজনকে চুরি যাওয়া ৮ গ্রাম সোনার গহনা সহ গ্রেফতার করা হয়েছিল । কিসমতকে হেফাজতে নিয়ে বুধবার রাতে গ্রেফতার করা হয় শেখ হাসান নামে আরও একজনকে । তার কাছ থেকে চুরি যাওয়া ৫ গ্রাম সোনা উদ্ধার করা হয় । ওই দু’জনকে গ্রেফতার করে ধৃত দুই স্বর্ণ ব্যবসায়ীর নাম জানতে পারা যায় । ভাতারের ভুমশোর গ্রামে চুরির ঘটনায় এযাবৎ প্রায় ৯১ গ্রাম সোনা ও দুটি হিরে উদ্ধার হয়েছে বলে জানিয়েছেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ।।