এইদিন ওয়েবডেস্ক,উধম সিং নগর,০৮ এপ্রিল : শচীন নামে নিজেকে পরিচয় দিয়ে এক হিন্দু বধূকে প্রেমের ফাঁদে ফেলে ধর্মান্তরিত করার অভিযোগ উঠল মোহাম্মদ শোয়েব নামে এক যুবকের বিরুদ্ধে । ঘটনাটি ঘটেছে উত্তরাখণ্ডের উধম সিং নগর জেলার বাজপুর এলাকায় । নৈনিতাল জেলার হরিদ্বারের বাসিন্দা হরিজন সম্প্রদায়ের ওই মহিলা তাকে জোরপূর্বক ইসলামে ধর্মান্তরিত করার জন্য মোহাম্মদ শোয়েবের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন ।
অর্গানাইজ উইকলির প্রতিবেদনে জানা গেছে, মহিলা পুলিশকে জানিয়েছেন যে ২০১৮ সালে বাজপুরের কৃপাল আশ্রম কাছে ৬ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা শচীন ওরফে লিয়াকত নামে এক ব্যক্তি তাকে প্রেমের ফাঁদে ফেলে এবং বলে যে সে একজন হিন্দু । তহসিল সোয়ার এলাকার বাসিন্দা তার খালা, খালার ছেলে আমজাদ আলী এবং অন্য দুই বন্ধুর সামনে বিয়ের সময় তাকে জানানো হয় যে লোকটির আসল নাম লিয়াকত । সে একজন মুসলমান । মহিলা তার সাথে থাকতে অস্বীকার করলে লিয়াকত তাকে আশ্বস্ত করেন যে বিয়ে হয়ে গেছে এবং এখন কিছুই করা যাবে না । তবে সে তাকে কখনই ধর্মান্তরিত হতে বলবেন না ।
কিন্তু ২০২২ সালে যখন তিনি একটি কন্যা সন্তানের জন্ম দেন, তখন লিয়াকতের মা খায়রুল নিশা, বাবা নিয়াদ আলী, ভাই ইমতিয়াজ আলী এবং ভগ্নিপতি হাসিনা মিলে তাকে এবং তার মেয়েকে লাঞ্ছিত করতে শুরু করে । শুধু তাই নয়, তাকে জোর করে গরুর মাংস খেতে, নামাজ পড়তে ও রোজা রাখতে বাধ্য করে । তিনি আজন্ম নিরামিষাশী,তাই গরুর মাংস খেতে গিয়ে বমি করে ফেলতেন । তাতেও দয়ামায়া দেখাতো না লিয়াকতরা । উলটে বিরোধিতা করলে লিয়াকত তাকে মারধর ও হত্যার হুমকি দেয় । শোয়েব শুধু তাকেই ইসলামে ধর্মান্তরিত করেনি, তার ৪ বছরের মেয়েকেও কাগজপত্রে ধর্মান্তরিত করেছিল । মহিলা জানান তাকে গত বছর পয়লা মার্চ মুসলিম ধর্মান্তরিত করে তার নতুন নাম রেশমা কাহতুন রাখা হয়েছিল ।
মহিলা জানান, ওই বছর ৫ এপ্রিল সকাল সাড়ে ৭ টায় লিয়াকত তার মুখে গরম চা ছুঁড়ে তাকে গালিগালাজ করতে থাকে। তাকে লাথি, ঘুষি ও গলা টিপে ধরে শ্বাসরোধ করে মেরে ফেলার চেষ্টা করে । তার হাতে, পায়ে ও পায়ে অসংখ্য আঘাত লেগেছে । তাকে এবং তার মেয়েকে হত্যার হুমকি দেওয়া হয়েছিল এবং তার পরিবারকে দুর্ঘটনায় মেরে ফেলার হুমকি দেওয়া হয়েছিল ।
মহিলা জানান,তার প্রাক্তন স্বামী একজন মাতাল ছিলেন এবং সে তাকে মারধর করত । তাই তাকে তিনি ছেড়ে দিয়েছে । আর এরপরেই চিত্রশিল্পী মোহাম্মদ শোয়েব নিজেকে হিন্দু পরিচয় দিয়ে তাকে প্রেমের জালে ফাঁসায় । সমর নামধারী লিয়াকতের আসল পরিচয় জানার পর তার বাপের বাড়ির লোকজনও তার সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করে দেয় । ফলে কোথাও যাবার উপায় না থাকায় তিনি লিয়াকতের সঙ্গে থাকতে বাধ্য হন । শোয়েব তাকে গত বছর ২৭ নভেম্বর বাড়ি থেকে বের করে দেয়। তারপর থেকে তিনি ঘিসুপুর এলাকায় একটি ভাড়া বাড়িতে বসবাস করছে । মহিলার অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু করেছ।।