দিব্যেন্দু রায়,ভাতার(পূর্ব বর্ধমান),০৫ এপ্রিল : প্রায় পাঁচমাস আগে পূর্ব বর্ধমান জেলার ভাতার থানার ভুমশোর গ্রামের এক গৃহস্থের বাড়িতে দুঃসাহসিক চুরির ঘটনা ঘটেছিল । প্রায় ১০ ভরি সোনার গহনা নিয়ে চম্পট দেয় চোর । অবশেষে সেই চুরির ঘটনার কিনারা করল ভাতার থানার পুলিশ । চুরির অভিযোগে মঙ্গলবার রাতে একই গ্রামের বাসিন্দা কিসমত আলি মল্লিক নামে এক যুবককে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ । উদ্ধার হয়েছে চুরি যাওয়া প্রায় ৮ গ্রাম সোনার গহনা । সোনার কানের দুল, আংটি প্রভৃতি ওই সমস্ত গহনাগুলি কিসমতের বাড়ির শোকেস থেকে উদ্ধার হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ ।
পুলিশ সূত্রে খবর,ভুমশোর গ্রামের বাসিন্দা ইসমাতারা বেগম নামে এক গৃহবধূ গতবছর অক্টোবর মাসের ১৮ তারিখে ভাতার থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন । অভিযোগপত্রে তিনি জানান, তার স্বামী কবুল হোসেন শেখ কর্মসূত্রে ভিনরাজ্যে থাকেন । নাবালিকা মেয়ে নাসিমাকে নিয়ে বাড়িতে থাকেন তিনি । চুরির ঘটনার দিন কয়েক আগে তিনি বাড়িতে তালা লাগিয়ে মেয়েকে নিয়ে ঘাটশিলায় বাপেরবাড়িতে গিয়েছিলেন । প্রতিবেশীদের কাছে খবর পেয়ে ভুমশোরে ফিরে এসে দেখেন বাড়ির গেটসহ ঘরের একাধিক তালা ভাঙা । ঘরে ঢুকে দেখেন স্টীলের আলমারির লকারও ভাঙা রয়েছে । উধাও হয়ে গেছে তার প্রায় ১০ ভরি সোনার গহনা ।
জানা গেছে,মহিলার কাছে অভিযোগ পাওয়ার পরেই ঘটনার তদন্তে নামে পুলিশ । কিন্তু পুলিশ এতদিন চোরের কোনো হদিশ করতে পারেনি । অবশেষে গোপন সূত্র থেকে ভুমশোর গ্রামের বাসিন্দা কিসমত আলি মল্লিকের নাম পুলিশ জানতে পারে । শেষে মঙ্গলবার চুরি যাওয়া কিছু গহনাসহ তাকে বাড়ি থেকে গ্রেফতার করা হয় । বুধবার ধৃতকে আদালতে তুলে পুলিশ ৫ দিনের জন্য নিজেদের হেফাজতে চেয়ে আবেদন জানায় । বিচারক ধৃতের পুলিশ হেফাজত মঞ্জুর করে । ভাতার থানার ওসি অরুন কুমার সোম জানান,ধৃতকে জেরা করে বাকি গহনা উদ্ধারের চেষ্টা চলছে ।।