এইদিন ওয়েবডেস্ক,নয়াদিল্লি,০৫ এপ্রিল : নিষিদ্ধ সন্ত্রাসী সংগঠন ইন্ডিয়ান মুজাহিদিনের সহ-প্রতিষ্ঠাতা সন্ত্রাসবাদী ইয়াসিন ভাটকল সম্পর্কে এক ভয়ঙ্কর তথ্য জানিয়েছে ন্যাশনাল ইনভেস্টিগেশন এজেন্সি (এনআইএ) । দিল্লির আদালতে পেশ করা চার্জশিটে এনআইএ জানিয়েছে,সুরাটে পরমাণু হামলা চালানোর পরিকল্পনা করেছিল ইয়াসিন ভাটকল । এছাড়াও দিল্লিসহ দেশের একাধিক স্থানে পারমাণবিক হামলা চালানোর পরিকল্পনাও ছিল তার । চার্জশিটে এনআইএ আরও জানিয়েছে,দেশে মুসলমানদের উপর মনগড়া নৃশংসতার কাহিনী প্রচার করে মুসলিম যুবকদের সন্ত্রাসবাদে উদ্বুদ্ধ করত ওই কুখ্যাত সন্ত্রাসবাদী । আদালত প্রাথমিকভাবে ইয়াসিন ভাটকল এবং অন্যদের ২০১২ সালে দেশের বিরুদ্ধে যুদ্ধ চালানোর ষড়যন্ত্রের জন্য দোষী সাব্যস্ত করেছে । পাতিয়ালা হাউস কোর্টের অতিরিক্ত দায়রা বিচারক শৈলেন্দ্র মালিক বলেছেন যে অভিযুক্তের সোশ্যাল মিডিয়ায় কথোপকথন থেকেই বোঝা যায় যে তারা সুরাটে একটি পারমাণবিক বোমা বিস্ফোরণের ষড়যন্ত্র করেছিল । তাদের বিরুদ্ধে দেশদ্রোহিতার যথেষ্ট প্রমাণ রয়েছে বলে জানিয়েছে আদালত ।
এনআইএ চার্জশিটে জানিয়েছে,সন্ত্রাসবাদী ইয়াসিন ভাটকল ও তার দলবল নেপালের মাওবাদীদের সহায়তায় অস্ত্র ও গোলাবারুদ সংগ্রহ করে ভবিষ্যতে দেশে সন্ত্রাসবাদী কর্মকাণ্ড চালানোর পরিকল্পনা করেছিল । এছাড়া তারা দেশের বিভিন্ন স্থানে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড চালাতে ব্যাপক হারে নতুন সদস্য নিয়োগ করছিল । পাশাপাশি পাকিস্তান ভিত্তিক সহযোগীদের সাথে স্লিপার সেলকে সক্রিয়ভাবে সাহায্য করেছিলেন । তদন্তকারী সংস্থা ন্যাশনাল ইনভেস্টিগেশন এজেন্সি (এনআইএ) আদালতকে বলেছে যে ইন্ডিয়ান মুজাহিদিন এবং এর সাথে সম্পর্কিত সংগঠনের সদস্যরা সন্ত্রাসী কার্যকলাপ চালানোর জন্য হাওয়ালার মাধ্যমে বিদেশ থেকে নিয়মিত তহবিল পেত । ইয়াসিন ভাটকলরা মুসলিম যুবকদের কট্টরপন্থীয় উৎসাহিত করার জন্য বাবরি মসজিদ, গুজরাট দাঙ্গাসহ বিভিন্ন ঘটনার উপর মনগড়া কাহিনী তৈরি করে তাদের কাছে পরিবেশন করত ।
আদালত বলেছে যে সাক্ষীদের জবানবন্দি স্পষ্টভাবে প্রমাণ করেছে যে অভিযুক্তরা দেশে সন্ত্রাস ছড়ানো এবং সমগ্র সমাজকে অস্থিতিশীল করার জন্য বিভিন্ন সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড চালানোর একটি বড় ষড়যন্ত্র করেছিল । আদালত ভাটকল, আনসারি, মোহাম্মদ আফতাব আলম, ইমরান খান, সৈয়দ, ওবায়েদ উর রহমান, আসাদুল্লাহ আখতার, উজাইর আহমেদ, মোহাম্মদ তাহসিন আখতার, হায়দার আলি এবং জিয়া উর রহমানের বিরুদ্ধে মামলা শুরু করেছে । তবে মানজার ইমাম, আরিজ খান ও আবদুল ওয়াহিদ সিদ্দিবাপ্পাকে এই মামলা থেকে মুক্ত করেছে আদালত ৷ আদালত জানিয়েছে, প্রসিকিউশন তাদের বিরুদ্ধে উপযুক্ত প্রাথমিক প্রমাণ দিতে ব্যর্থ হয়েছে ।।