এইদিন ওয়েবডেস্ক,গুয়াহাটি,০৩ এপ্রিল : আসামের গুয়াহাটিতে লাভ জিহাদের এক চাঞ্চল্যকর ঘটনা সামনে এসেছে । নিজেকে হিন্দু পরিচয় দিয়ে তুলিকা দাস নামে এক তরুনীকে প্রেমের জালে ফাঁসিয়েছিল মইদুল আলী নামে এক মুসলিম যুবক । প্রেমিকাকে বিয়ের জন্য চাপ দিচ্ছিল মইদুল । কিন্তু তরুনী তার আসল ধর্ম পরিচয় জানাতে পেরে বিয়ে করতে অস্বীকার করে । তার জেরে তরুনীকে নৃশংসভাবে কুপিয়ে খুন করে ওই মুসলিম যুবক । ঘটনার ৬ মাস পর অবশেষে ঘাতক প্রেমিককে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়েছে পুলিশ । গুয়াহাটির দিসপুর থানার পুলিশ অভিযুক্তকে খুঁজে বের করে গত ৩০ মার্চ হাজো এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করে ।
অর্গানাইজ উইকলির প্রতিবেদনে জানা গেছে, তুলিকা দাস পেশায় একজন নার্স ছিলেন । তিনি দিসপুরের সুপার মার্কেট এলাকায় ভাড়া থাকতেন । গত বছর ২ অক্টোবর ভাড়া বাড়ি থেকে তার রক্তাক্ত ক্ষতবিক্ষত মৃতদেহ উদ্ধার করে পুলিশ । প্রথম দিকে পুলিশ খুনি ও খুনের কারন নিয়ে ধন্দ্বে ছিল । পুলিশ অজ্ঞাতপরিচয়ের বিরুদ্ধে খুনের মামলা দায়ের করে ঘটনার তদন্ত শুরু করে ।
জানা গেছে,তদন্তে নেমে মোবাইল ফোনের সূত্র ধরে একটি সিম নম্বর জানতে পারে পুলিশ । তবে সিমটি হিন্দু নামে নথিভুক্ত ছিল । শেষে পুলিশ মইদুল আলীর হদিশ পায় । এদিকে জেরায় নিজের অপরাধের কথা কবুল করেছে মইদুল । পুলিশের জেরায় মইদুল কবুল করেছে যে নিজেকে হিন্দু পরিচয় দিয়ে তুলিকার সঙ্গে সে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তুলেছিল । এক বছরের বেশি সময় ধরে তাদের সম্পর্ক ছিল । এরপর মঈদুল আলী বিয়ে করার জন্য চাপ দিতে শুরু করলে তুলিকা তার পরিবারের লোকজনের সঙ্গে দেখা করতে চায় । কিন্তু আসল পরিচয় ফাঁস হয়ে যাওয়ার আশঙ্কায় রাজি হয়নি মঈদুল । পরে তুলিকা কোনোভাবে আসল পরিচয় জানতে পেরে মঈদুলের সঙ্গে দূরত্ব তৈরি করে । আর এতে ক্ষিপ্ত হয়ে মঈদুল প্রথমে তুলিকাকে অপহরণের চেষ্টা করে । এজন্য নিজের ভাইপোর সাহায্য নেয় জিহাদি মঈদুল । কিন্তু অপহরণ করতে ব্যর্থ হওয়ায় গত বছরের ২ অক্টোবর সে তুলিকাকে ছুরি দিয়ে কুপিয়ে খুন করে পালিয়ে যায় । যদিও খুনের ঘটনার ৬ মাস পরে পুলিশের হাতে ধরা পড়ে যায় ওই লাভ জিহাদি ।।