এইদিন ওয়েবডেস্ক,কলকাতা,০২ মার্চ : হাওড়ায় কাশীপুরে রামনবমীর শোভাযাত্রার পর রবিবার হুগলির রিষড়ায় একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি হয়েছে । ওই দুই জায়গায় শোভাযাত্রায় পাথরবাজির ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করেছেন বিজেপির সর্বভারতীয় সহ সভাপতি দিলীপ ঘোষ । হাওড়ার কাশীপুরের ভিডিওর সাথে দিলীপবাবু লিখেছেন, ‘পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী তথা পুলিসমন্ত্রী বলছেন রমজান মাস চলছে তাই মৌলবাদীদের বাধা দেওয়া যাবে না। তাতে যদি সাধারণ মানুষ অত্যাচারিত হন তাতেও তাঁর কোনও সমস্যা নেই। এটা একজন মুখ্যমন্ত্রীর মত কথা? তিনি সাধারণ মানুষকে সুরক্ষা দিতে ব্যর্থ।-হাওড়া, রাম নবমী ।’ পাশাপাশি রবিবার হুগলির রিষড়ায় পাথরবাজির ভিডিওর সাথে তিনি লেখেন,’রোজাদারদের ঈমান দেখুন ! রিষড়ার মসজিদ থেকে রাম নবমীর মিছিলে পাথর ছুঁড়ছে।’
তবে দিলীপ ঘোষ ছাড়াও রামনবমীর শোভাযাত্রায় পাথরবাজির কিছু ভিডিও ভাইরাল হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ার । এই সমস্ত ক্ষেত্রে কিছু পোস্টকারীদের পুলিশের শাসানি দেওয়ার অভিযোগ তুলেছেন বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী । একটা অডিওতে ৩০ শে মার্চ পোস্ট করা হাওড়ার শিবপুর স্বস্তিবাজারের হিংসার ছবি পোস্ট ডিলিট করতে বলতে শোনা গেছে । বলা হচ্ছে নির্দেশটি সাইবার পিএস লালবাবাজার থেকে দেওয়া হয়েছিল । এর প্রতিক্রিয়ায় শুভেন্দু অধিকারী লিখেছেন,’আজকের এই আধুনিক যুগে মোবাইল সকলের হাতে। কোন জায়গায় কিছু ঘটনা ঘটলে এলাকার সাধারণ মানুষ সাথে সাথেই তা ক্যামেরা বন্দি করে থাকেন, সংবাদ মাধ্যমের ক্যামেরা পৌঁছনোর আগেই। হাওড়া ও ডালখোলায় কী ঘটেছিল এবং আজকে রিষড়ায় যা ঘটছে তা সারা দেশের মানুষ দেখে আতঙ্কিত। মমতা পুলিশ স্যোশাল মিডিয়ার পোস্ট ডিলিটের ক্ষেত্রে তৎপরতা না দেখিয়ে আইন শৃঙ্খলা রক্ষায় যদি জাতি, ধর্ম নির্বিশেষে তাদের সঠিক পদক্ষেপ নিতেন আজ হয়তো এই ঘটনা ঘটত না। প্রশাসনের মনে রাখা উচিত যে, এক তরফা বিচার করে দোষীদের পাশে থেকে এবং নিরপরাধ ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নিলেই আসলে সামাজিক বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হয় ।’
শুভেন্দু অধিকারীর অন্য একটি অডিওতে গেরুয়া রঙের কপিধ্বজ খোলার জন্য কাউকে শাসাতে শোনা যাচ্ছে । ওই ব্যক্তিকে উত্তেজিত হয়ে হুঁশিয়ারি দিয়ে বলতে শোনা গেছে,’বেশি মাথা মাথা গরম করিও না ভাই । এবার কেসও করবো, অ্যারেস্টও করবো । বাড়ির লোক কোর্টে ছুটবে ।….. লাইফটা শেষ করে দেবো ।’
এই অডিও প্রসঙ্গে শুভেন্দু লিখেছেন, ‘পুলিশ মন্ত্রী ধারাবাহিকভাবে সনাতনীদের বিরুদ্ধে বিষ উগরে দেন, তাই এবার অধস্তন পুলিশ কর্মীরাও উদ্বুদ্ধ হয়ে ওনার মতোই সনাতন ধর্মের বিরুদ্ধে কোমর কষছেন ! শিলদার ইন্দিরা চকে বজরংবলীর পতাকা না খুললে বাচ্চা ছেলেদের “কেস দিয়ে কেরিয়ার শেষ করে দেওয়ার” হুমকি বিনপুর থানার এস আই সাহেবের ।’
এদিকে রবিবারে হুগলির হিংসার পর পশ্চিমবঙ্গ সরকারের হোম এন্ড হিল অ্যাফেয়ার্স ডিপার্টমেন্টের জারি করা নির্দেশিকায় হুগলির কিছু এলাকায় ২ এপ্রিল রাত্রি ১০ টা থেকে ৩ এপ্রিল রাত্রি ১০ টা পর্যন্ত ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ করার কথা বলা হয়েছে ।।