এইদিন ওয়েবডেস্ক,আলিগড়,৩১ মার্চ : একই গ্রামের বাসিন্দা এক মুসলিম তরুনীকে ভালোবেসে বিয়ে করেছিলেন এক হিন্দু যুবক । কিন্তু বিয়ের কয়েক মাস পর থেকেই নববধূ তার স্বামীসহ শ্বশুরবাড়ির লোকজনদের ইসলাম ধর্মে ধর্মান্তরিত হওয়ার জন্য চাপ সৃষ্টি করতে থাকে । বাড়িতে রাখা দেবীর মূর্তি পর্যন্ত ভাঙচুর চালায় যুবকের স্ত্রী । এমনকি যুবকের শ্বশুরবাড়ির লোকজনও তার স্ত্রীকে সমর্থন করে গোটা পরিবারকে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করার জন্য চাপ সৃষ্টি করতে থাকে বলে অভিযোগ । এদিকে লাগাতার চাপে অতিষ্ট হয়ে স্ত্রীসহ শ্বশুরবাড়ির লোকজনের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ জানিয়েছে ওই হিন্দু যুবক । ঘটনাটি উত্তরপ্রদেশের আলিগড়ের । অভিযোগকারীর নাম অজয় কুমার । অভিযুক্তদের মধ্যে রয়েছে অজয়ের স্ত্রী মুসকান বানো,মুসকানের বাবা ইউনিস, মুসকানের জামাইবাবু সুহেলসহ ৫ জন । আলিগড় থানার সিও বার্লা সারজানা সিং জানিয়েছেন, এই বিষয়ে ৫ জনের বিরুদ্ধে একটি মামলা রজু করা হয়েছে । বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে । ঘটনার সত্যতা পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে ।
মিডিয়া রিপোর্টে জানা গেছে,আলিগড় জেলার আক্রবাদ থানার অন্তর্গত ফরিদপুরে বাড়ি অজয় কুমারের । পার্শ্ববর্তী গুল্লুপুর সেহোর এলাকার বাসিন্দা ইউনিস খানের মেয়ে মুসকান বানো । এলাকাটি মুসলিম অধ্যুষিত । অজয়রাই গ্রামের একমাত্র হিন্দু পরিবার । পুলিশের কাছে অজয়ের দেওয়া বিবরণ অনুযায়ী, ২০২২ সালের ডিসেম্বরে মুসকানের সঙ্গে তার প্রেম বিবাহ হয় । বিয়ের কয়েকদিন সব ঠিকঠাক থাকলেই মুসকান তার শ্বশুরবাড়ির প্রতিবেশী মুসলিম মহিলাদের সঙ্গে মেলামেশা শুরু হতেই তার মানসিকতার পরিবর্তন হতে শুরু করে । স্থানীয় মুসলিম মহিলাদের উসকানিতে স্বামীসহ শ্বশুরবাড়ির লোকজনদের ইসলাম ধর্মে ধর্মান্তরিত হওয়ার জন্য ক্রমাগত চাপ সৃষ্টি করে শুরু করে মুসকান ।
অজয়ের অভিযোগ,চৈত্র নবরাত্রির সময় মুসকান মাংস খাওয়ার জন্য জেদ করতে শুরু করে । কিন্তু ওইদিন পরিবারের সকল সদস্য উপবাস করেছিল । তাই দুর্গাপূজার কথা বলে মাংস রান্না করতে অস্বীকার করলে মুসকান বাড়ির দুর্গা প্রতিমার ভাঙচুর করে । অজয় জানান,ঘটনার পর তিনি এই বিষয়ে মুসকানের পরিবারের সদস্যদের সাথেও কথা বলেন । কিন্তু মুসকানের বাপের বাড়ির লোকজন উলটে তাদের মেয়ের পক্ষ নেয় এবং তাকে ও তার পরিবারকে ধর্মান্তরিত হওয়ার জন্য চাপ দেয় ।
জানা গেছে,বিগত ১৫ দিন ধরে মুসকান তার স্বামী অজয় এবং শ্বশুরবাড়ির পরিবারের সদস্যদের ইসলাম গ্রহণের জন্য চাপের মাত্রা বাড়িয়ে দেয় । কিন্তু অজয় ও তার পরিবার ইসলাম গ্রহণ করতে অস্বীকার করে । যে কারনে অশান্তি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায় । শেষে স্ত্রী মুসকান ছাড়াও শ্বশুর বাড়ির ৫ সদস্যের বিরুদ্ধে স্থানীয় থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন অজয় কুমার ।।