এইদিন ওয়েবডেস্ক,কক্সবাজার,২৬ মার্চ : ২০২১ সালের ১৩ অক্টোবর রাতে বাংলাদেশের কুমিল্লার নানুয়া দিঘীর পাড়ে দূর্গাপূজো মন্ডপে হনুমান মূর্তির কোলে কোরান রেখে দিয়ে দেশ জুড়ে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা লাগিয়ে দিয়েছিল ইকবাল হোসেন নামে বছর ৩৫-এর এক জিহাদি । সেই সাম্প্রদায়িক হিংসার আগুনে জ্বলেছিল বহু হিন্দুর ঘরবাড়ি ও দোকানপাট । বেশ কয়েকজন হিন্দু যুবককে প্রাণে মারার পাশাপাশি হিন্দু মহিলাদের ধর্ষণের ঘটনাও ঘটেছিল বলে অভিযোগ । ফের একবার একই ধাঁচে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা লাগানোর চেষ্টায় ছিল বাংলাদেশের কক্সবাজারের ঈদগাহ উপজেলার আর এক জিহাদি । এবারে মাদ্রাসার এক পড়ুয়াকে দিয়ে ওই জিহাদি স্থানীয় মসজিদে ভগবান শিবের মূর্তি রাখতে পাঠায় । কিন্তু স্থানীয় হিন্দুরা ওই কিশোরের সন্দেহজনক গতিবিধি দেখে তাকে ধরে জিজ্ঞাসাবাদ করতেই সে সব কিছু খুলে বলে দেয় । যে কারনে ফের বড়সড় হামলার হাত থেকে রেহাই পেয়ে যায় বাংলাদেশের হিন্দু সম্প্রদায়ের মানুষ ।
বাংলাদেশ জাতীয় হিন্দু মহাজোটের কিশোরগঞ্জ জেলা শাখার ফেসবুক পেজে ওই কিশোর ও শিবমূর্তির ছবিসহ রবিবার পোস্ট করে ঘটনার বিবরণ দেওয়া হয়েছে । বিবরণে বলা হয়েছে,’ব্রেকিং নিউজ । কক্সবাজারের ঈদগাহ উপজেলাতে ভয়ংকর সাম্প্রদায়িক ষড়যন্ত্র নসাৎ করে দেওয়া হয়েছে । ২০২১ সালে নানুয়া দিঘীর পাড় পূজা মন্ডপের মতো আবারো ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে সকল সনাতনীরা সজাগ থাকবেন বিশেষ করে কক্সবাজার আশেপাশের সনাতনীরা ।’ এরপর বলা হয়েছে, ‘একটি অবুঝ মাদ্রাসা ছাত্রকে শিবের মূর্তি দিয়ে তা মসজিদে রেখে আসার কথা বলা হয়েছিল ।
কিন্তু ছেলেটি মূর্তিটি নিয়ে কক্সবাজারের ঈদগাহ উপজেলার ঈদগাহ ইউনিয়নের একটি মসজিদের পাশে হিন্দু পাড়া পালপাড়াতে ঘোরার সময় তার সন্দেহজনক গতিবিধির কারনে হিন্দুরা তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করে । তারপরেই সে সাবলীল ভাষায় জানায় তার দুলাভাই এই শিবমূর্তিটি ঈদগাহের যেকোন হিন্দু পাড়ার আশপাশ কোনো মসজিদে রাখতে বলেছে।’
আরও বলা হয়েছে,’ওই ঘটনার পর এলাকায় থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে ।ইতিমধ্যে ঈদগাহে পুলিশ প্রশাসন এসে তদারকি এবং নিরাপত্তা বাড়িয়েছে। এবং ছেলেটিকে স্থানীয় জনপ্রতিনিধি সমেত ধরে থানায় নিয়ে গেছে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য।’ পাশাপাশি হিন্দুদের সতর্ক করে বলা হয়েছে,’সকলে সাবধান থাকুন ও সজাগ থাকুন ।’।