দিব্যেন্দু রায়,ভাতার(পূর্ব বর্ধমান),২২ মার্চ : পূর্ব বর্ধমান জেলার ভাতার থানার আমারুন গ্রামে এক রাতে পরপর ৫ টি বাড়িতে দুঃসাহসিক চুরির ঘটনা ঘটে মাস খানেক আগে । অবশেষে ওই চুরির ঘটনার কিনারা করল ভাতার থানার পুলিশ । এই ঘটনায় আমজাদ আলি শেখ নামে এক কুখ্যাত দুষ্কৃতী ও নয়ন দে নামে সোনারুপোর গহনা প্রস্তুতকারককে পুলিশ মঙ্গলবার রাতে গ্রেফতার করেছে । ধৃতদের মধ্যে আমজাদের বাড়ি মঙ্গলকোটের শিমুলিয়া গ্রামে । নয়ন মঙ্গলকোটের ছোটপোশলা গ্রামের বাসিন্দা এবং নিগন বাজারে তার সোনারূপোর গহনা তৈরির দোকান রয়েছে । আমজাদ চুরি করা সোনার গহনা নয়নের দোকানেই বিক্রি করেছিল বলে জানতে পেরেছে পুলিশ । পাশাপাশি চুরি যাওয়া একটি মোটরসাইকেলও আমজাদের বাড়ি থেকে উদ্ধার হয়েছে বলে জানিয়েছেন ভাতার থানার ওসি অরুন কুমার সোম ।
পুলিশ সূত্রে খবর,আমজাদ আলি শেখ একজন দাগি দুস্কৃতী বলে পুলিশের খাতায় চিহ্নিত । তার বিরুদ্ধে চুরি,ডাকাতি সহ একাধিক গুরুতর অভিযোগের মামলা চলছে । গত ২৬ ফেব্রুয়ারী রাতে ভাতারের আমারুন গ্রামের বাসিন্দা মথুরা ঘোষ,সুকুমার সেন, প্রতাপ ভট্টাচার্য, ধানু সাঁতরা ও তোতন ঘরুই নামে ৫ ব্যক্তির বাড়িতে হানা দিয়ে সর্বস্ব লুটপাট চালিয়ে পালিয়ে যায় আমজাদ । এমনকি মথুরা ঘোষের মোটরসাইকেলটাও নিয়ে চম্পট দেয় চোরেরা । মথুরাবাবু এনিয়ে থানায় অভিযোগ দায়ের করলে ঘটনার তদন্তে নামে পুলিশ । শেষে সিসিটিভি ফুটেজ ও বিভিন্ন সূত্র থেকে পুলিশ আমজাদের হদিশ পায় । পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে সোনারুপোর কারবারি নয়ন দে-এর নাম জানতে পারে । মঙ্গলবার রাতে তাদের দু’জনকে গ্রেফতার করা জয় ।
পুলিশের অনুমান, ওইদিন শুধু আমজাদ আলি শেখই নয়,বরঞ্চ আরও কিছু দুষ্কৃতী তার সঙ্গে ছিল । তবে ঠিক কতজন এই চুরির ঘটনায় জড়িত তা এখনো স্পষ্ট নয় । পুলিশ জানিয়েছে,এই চক্রে আর কেউ জড়িত আছে কিনা তা জানার চেষ্টা চলছে । পাশাপাশি চুরি যাওয়া সামগ্রী উদ্ধারের চেষ্টা চলছে বলে জানিয়েছে পুলিশ ।।