এইদিন ওয়েবডেস্ক,ঢাকা,২১ মার্চ : বাংলাদেশের সংখ্যালঘু হিন্দুদের উপর নির্যাতনের ঘটনা নতুন কিছু নয় । ধর্ষণ,খুন,জোর করে ধর্মান্তরিত করা, হিন্দু মেয়েদের লাভ জিহাদের ফাঁদে ফেলা, হিন্দুদের ধর্মস্থল ও ঘরবাড়িতে হামলা এবং জমি জায়গা জোর করে দখল করে নেওয়ার ঘটনা আকছার ঘটে থাকে ৷ আর এই সমস্ত ঘটনায় সাধারণত বাংলাদেশ ন্যাশানাল পার্টি(বিএনপি),জামাত-এ- ইসলামিসহ বিভিন্ন মুসলিম মৌলবাদী সংগঠনের দিকে অভিযোগের আঙুল তোলা হয় । কিন্তু এবার শেখ হাসিনার পার্টি তথা বাংলাদেশের শাসকদল আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে চাঞ্চল্যকর অভিযোগ তুললেন বাংলাদেশ সনাতন পার্টির (বিএসপি) সাধারন সম্পাদক অ্যাডভোকেট সুমন কুমার রায় । তাঁর অভিযোগ,’আওয়ামী লীগ হিন্দুদের বাড়ির পোষা মুরগি মনে করে,যখন খুশি জবাই করবে ।’ পাশাপাশি তিনি অভিযোগ তুলেছেন,বাংলাদেশের হিন্দুদের ৭০ শতাংশ জমি জায়গা দখল করে রেখেছে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা ।
আইবিএন ২৪ নামে বাংলাদেশের একটি নিউজ পোর্টালে সাক্ষাৎকারে সুমন কুমার রায় বলেছেন, ‘শাখা চৌধুরীর একটা কথা অনেকের কাছ শুনেছিলাম যে হিন্দুরা নাকি ঘরের পোষা মুরগি । যখন মন চাইবে ছেড়ে দেবো,যখন মন চাইবে জবাই করবো । আওয়ামী লিগের অবস্থাও সেই রকম । কারন হিন্দুদের আওয়ামী লিগকে ছাড়া অন্য জায়গায় ভোট দেওয়ার কোনো সূযোগ নেই । সেই কারনে হিন্দুদের পাশে দাঁড়ালো কি না দাঁড়ালো তাতে কিছু যায় আসে না,কারন তারা জানে ভোট তো আমাদেরই দেবে ।’ পাশাপাশি তাঁর অভিযোগ, ‘বাংলাদেশের সংখ্যালঘুদের সব চেয়ে বেশি জমি জায়গা দখল করে আছে আওয়ামী লীগ । প্রায় ৭০ শতাংশ হিন্দুদের জায়গা জমি তারা দখল করে রেখেছে ।’
তিনি বলেন,’আওয়ামী লীগ বিরোধীরা মনে করে ভারতই তাদের ক্ষমতায় আনে । সেই কারনে ভারতের প্রতি তাদের বিতৃষ্ণা ভাব থাকে । আর বাংলাদেশের হিন্দুদেরকে ভারতের দালাল বলে মনে করে তারা । সেই কারনে আমাদের সার্বভৌমত্ব, আমাদের স্বাধীনতার উপরেও তারা আঘাত হানতে চায় । কিন্তু তাদের এই ধারণা সঠিক নয় । হিন্দুরা যেহেতু আওয়ামী লীগ বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলিকে ভোট দেয় না তাই তারা চায়না হিন্দুরা ভারতে থাকুক । একারনে তারা হিন্দুদের অত্যাচার নির্যাতন চালায় । আবার আওয়ামী লীগ মনে করে যে এরাই(হিন্দু সম্প্রদায়) তো আমাদের ভোটব্যাঙ্ক । সেইহেতু এদের অত্যাচার নির্যাতন করলেও বিশ্বকে দেখানো যাবে যে বিরোধীরা হিন্দুদের উপর আক্রমণ করছে । এটা রাজনৈতিক কৌশল । বাংলাদেশের রাজনৈতিক কৌশলের বলি সংখ্যালঘু সম্প্রদায় । তাই এই দেশে থাকার থেকে ভারতে গিয়ে রিক্সা চালিয়ে খাওয়া ভালো ।’
সুমনবাবু আক্ষেপের সুরে বলেছেন, চীনে উইঘুর সম্প্রদায়ের উপর যেভাবে অত্যাচার হচ্ছে, বাংলাদেশের মিডিয়াতেও সেভাবে প্রচার দেখা যায় না । কিন্তু ভারতে কিছু হলেই এখানকার ইসলামি দলগুলি রাস্তায় নেমে পড়ে । চীনের বিরুদ্ধে তাদের রাস্তায় নামতে দেখি না । অথচ উইঘুর সম্প্রদায়ের উপরের উপর নির্যাতনের প্রতিবাদ হওয়া উচিত । বিশ্বের যেখানেই মানবাধিকার লঙ্ঘন হবে, যেখানেই সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের উপর অত্যাচার ও নির্যাতন হবে,সবার উচিত তাদের পাশে দাঁড়ানো । পাশে দাঁড়াতে না পারলেও অন্তত প্রতিবাদ করা উচিত ।’।