এইদিন ওয়েবডেস্ক,কলকাতা,০৬ মার্চ : ‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ভেবেছিলেন মুসলমানরা তাঁর চৌবাচ্ছার জিওল মাছ’- মূর্শিদাবাদের সাগরদিঘির মতো মুসলিম অধ্যুষিত একটি আসনের উপনির্বাচনে একজন হিন্দু প্রার্থীকে দাঁড় করানো প্রসঙ্গে এমনই মন্তব্য করলেন রাজ্যের বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী । শুভেন্দু বলেন, ‘তৃণমূলের প্রচারক ত্বহা সিদ্দিকি বলেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উচিত ছিল সাগরদিঘিতে মুসলমান প্রার্থী দেওয়া । মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ভেবেছিলেন মুসলমানরা আমার চৌবাচ্ছার জিওল মাছ । যেহেতু ইদের দিন আমি রেডরোডে যাই,তাই আমি যেদিকে থাকবো সেদিকেই ৬৫ শতাংশ মুসলমান ভোট পড়বে । একটা হিন্দু ব্রাহ্মণ বাড়ির ছেলেকে দাঁড় করিয়ে হিন্দু ভোট কেটে নেবো,এটা ছিল তার তাল । তাতে জালও গেছে,গামছাও গেছে ।’
সাগরদিঘিতে তৃণমূল বিরোধী জোট জয়লাভ করায় এদিন বিজেপির সর্বভারতীয় সহ সভাপতি দিলীপ ঘোষ রাজ্যের বিরোধীদের একজোট হয়ে লড়াইয়ের বার্তা দিয়েছেন । এই প্রসঙ্গে সাংবাদিকরা শুভেন্দু অধিকারীকে প্রশ্ন করলে তিনি বলেছেন,’মানুষ চাইছে ঐক্যবদ্ধ হয়ে লড়ুক । কিন্তু আদর্শগত ভাবে তেল আর জল তো মিলবে না ৷ তাই বিরোধীদের একসঙ্গে আন্দোলন সম্ভব নয় । কিন্তু গত কাল আমি মহিষাদলে বলেছি যে আমাদের সকলের উচিত ‘নো ভোট টু মমতা’ বলা । এবার মানুষই ঠিক করে দেবেন তারা বিজেপিকে আনবেন না অন্য কাউকে আনবেন ।’ তিনি আরও বলেন,’আমি গতকাল বলেছি, এই ভুলটা সিপিএম কংগ্রেসের বন্ধুরা করেছেন । তারা এখন অস্বীকার করবেন,তারা অনেক বড়বড় তাত্বিক কথাবার্তা বলবেন । তাদের হেডকোয়ার্টার তো কারো কারোর চীন,ভারতবর্ষ নয় । তারা ভবানীপুরে সাপোর্টও দেবেন,আবার বিরোধিতাও করবেন । গত নির্বাচনে তারা বলেছিল ‘নো ভোট টু বিজেপি’ । দিলীপ দা আজ যা বলেছেন, গত কাল আমিও তাই বলেছি । আমরা এনডিএর ঝান্ডা নিয়ে লড়াই করব । আপনারাও ভিন্ন ভিন্ন ভাবে করুন । তবে আওয়াজটা বাংলায় উঠুক ‘নো ভোট টু মমতা’ । বাকিটা জনগনের উপর ছেড়ে দিন ।’
প্রসঙ্গত,এদিন বিধানসভার অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে ১৬ টা অভিযোগের ভিত্তিতে বিজেপির আনা অনাস্থা প্রস্তাব গ্রাহ্য না হওয়ায় অধ্যক্ষ ও মুখ্যমন্ত্রীকে তুলোধুনো করলেন বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী । তিনি অধ্যক্ষের উদ্দেশ্যে বলেন,’যেভাবে বিধানসভার আইনকে বুড়ো আঙুল দেখালেন, বলার কোনও ভাষা নেই ।’ পাশাপাশি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিশানা করে তিনি বলেছেন যে আমার চিঠির পরে সারা ভারতে সারদা নিয়ে চর্চা চলছে । এই মুখ্যমন্ত্রী বিচলিত,তার কারন তিনি রেলের সঙ্গে সারদার ট্যুর এন্ড ট্রাভেলের এগ্রিমেন্ট করিয়েছিলেন । এই মুখ্যমন্ত্রী বিচলিত,তার কারন ‘তারা বাংলা’র পেমেন্ট দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী রিলিফ ফান্ড থেকে৷ আর মুখ্যমন্ত্রী রিলিফ ফান্ডে গৌতম কুন্ডু ও সুদীপ্ত সেন টাকা দিয়েছিল । এই মুখ্যমন্ত্রী বিচলিত ৷ তার কারন তার ছবিগুলো কিনেছেন গৌতম কুন্ডু ও সুদীপ্ত সেন । এই মুখ্যমন্ত্রী আজকে বিচলিত কারন রাইটার্স বিল্ডিংয়ে সারদার অ্যাম্বুলেন্স উদ্বোধন করেছিলেন তিনি ৷ মুখ্যমন্ত্রী আজকে বিচলিত কারন গৌতম কুন্ডু ও সুদীপ্ত সেনের সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রীর মিটিংয়ের কথা বিরোধী দলনেতা প্রধানমন্ত্রীকে জানিয়েছে । তাই মুখ্যমন্ত্রী বিচলিত হয়ে আজকে অনাস্থা প্রস্তাবটা ঘেঁটে দেওয়ার কাজ করেছেন ।’ তিনি হুঁশিয়ারি দেন,’এই সরকারকে ও অধ্যক্ষকে আইনিপথে কি করতে হয় তা আমরা জানি ।’।