এইদিন ওয়েবডেস্ক,শিলিগুড়ি,০১ মার্চ : বিয়ের পর থেকেই স্বামীসহ শ্বশুরবাড়ির লোকজন অতিরিক্ত পণের জন্য চাপ দিত বলে অভিযোগ । দুই সন্তানের জন্মের পরেও অবস্থার কোনো পরিবর্তন হয়নি । সেই চাপ সহ্য করতে না পেরে শেষ পর্যন্ত আত্মঘাতী হলেন এক গৃহবধূ । ঘটনাটি ঘটেছে উত্তরবঙ্গের শিলিগুড়ি পুরনিগমের ৩৬ নম্বর ওয়ার্ডের নিরঞ্জননগর কলোনি এলাকায় । পুলিশ জানিয়েছে, নিহত গৃহবধূর নাম রেখা দাস । মঙ্গলবার রাতে শিলিগুড়ি জেলা হাসপাতাল থেকে বধূর মৃতদেহটি উদ্ধার করে পুলিশ । বুধবার মৃতদেহটি ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয় । এদিন এনিয়ে শিলিগুড়ি মেট্রোপলিটন পুলিশের আশিঘর ফাঁড়িতে একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন নিহত বধূর বাপেরবাড়ির লোকজন । তাঁদের অভিযোগ রেখাদেবীকে শ্বাসরোধ করে মেরে ঝুলিয়ে দেওয়া হয়েছে । পুলিশ জানিয়েছে,ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পাওয়ার পরেই মৃত্যুর প্রকৃত কারন জানা যাবে ।
স্থানীয় ও পরিবার সূত্রে জানা গেছে,ফকদই বাড়ি এলাকায় বাপের বাড়ি রেখা দাসের । শিলিগুড়ি পুরনিগমের ৩৬ নম্বর ওয়ার্ডের নিরঞ্জননগর কলোনির বাসিন্দা সনাতন দাসের সঙ্গে ২০১৪ সালে দেখাশোনা করে বিয়ে হয় তাঁর । বর্তমানে দম্পতির দুটি শিশুসন্তান রয়েছে । মৃতার বাপের বাড়ির অভিযোগ,বিয়ের সময় দাবিমত পণ দেওয়া হয়েছিল। তা সত্ত্বেও বিয়ের পর থেকেই রেখাদেবীর স্বামীসহ শ্বশুরবাড়ির লোকজন অতিরিক্ত পণ আনার জন্য তাঁর উপর চাপ সৃষ্টি করত । প্রতিবাদ করলেই অশান্তি বেধে যেত । যে কারনে মাঝেমধ্যেই সন্তানদের নিয়ে বাপের বাড়িতে পালিয়ে আসতেন রেখাদেবী ।
জানা গেছে,মঙ্গলবার রাতে পণ নিয়ে স্বামীর সঙ্গে একপ্রস্থ অশান্তি হয় বধূর । তারপর একটি ঘরে ঢুকে দরজায় খিল দিয়ে সিলিং ফ্যানের সঙ্গে গলায় ফাঁস লাগিয়ে তিনি ঝুলে পড়েন । শ্বশুরবাড়ির লোকজন তাঁকে উদ্ধার করে তড়িঘড়ি শিলিগুড়ি জেলা হাসপাতালে নিয়ে যায় । কিন্তু শেষরক্ষা হয়নি । এদিকে বধূর মৃত্যুর পরেই স্বামীসহ শ্বশুরবাড়ির লোকজন বেপাত্তা হয়ে গেছে । পুলিশ তাদের খুঁজছে।।