শ্যামসুন্দর ঘোষ,পূর্বস্থলী(পূর্ব বর্ধমান),০১ মার্চ : ফের রাজ্যের এক উচ্চ মাধ্যমিক স্কুলের বেহাল চিত্র প্রকাশ্যে এল । পূর্ব বর্ধমান জেলার পূর্বস্থলী-২ ব্লকে সাবিত্রী বালিকা বিদ্যালয়ের পড়ুয়ার সংখ্যা মোট ৮৩০ জন । সেখানে শিক্ষক মাত্র ৭ জন । নেই গ্রুপ ডি-র কর্মী । ফলে ক্লাস নেওয়া ও অফিস চালানো থেকে শুরু করে জল আনা, এমনকি ক্লাসরুমে ঝাড়ু দেওয়ার কাজ পর্যন্ত করতে হয় শিক্ষিকাদের । কিছু কিছু ক্ষেত্রে ছাত্রীরাও সহযোগিতা করে । কিন্তু শিক্ষকের অভাবে স্কুলের করনিককে পর্যন্ত ক্লাস নিতে হয় । প্রধান শিক্ষিকার অনুরোধে পঞ্চম থেকে দশম শ্রেণী পর্যন্ত অঙ্ক,ভৌতবিজ্ঞান, জীবন বিজ্ঞানের ক্লাস নেন স্কুলের করনিক সুমন্ত সাহা । স্কুলের এই বেহাল অবস্থা দেখে পড়ুয়াদের ভবিষ্যৎ নিয়ে চিন্তায় পড়ে গেছেন অবিভাবকরা ।
স্কুল সূত্রে খবর,সাবিত্রী বালিকা বিদ্যালয়ের ২৪ টি পদের মধ্যে বর্তমানে ১৭ টি পদই ফাঁকা রয়েছে । বর্তমানে মাত্র ৭ জন শিক্ষিকা রয়েছেন স্কুলে । তার মধ্যে আগামী জুনে একজন আবার অবসর নেবেন । এছাড়াও স্কুলের ২ জন গ্রুপ-ডি কর্মী থাকার কথা থাকলেও দু’জনেই অবসর নিয়েছেন । স্কুলে বিজ্ঞান বিভাগের কোনও শিক্ষক নেই । ফলে স্কুল চালাতে গিয়ে কার্যত হিমসিম খেতে হচ্ছে প্রধান শিক্ষিকা মৌসুমী পাল’কে । তিনি বলেন,’স্কুল খোলা ও বন্ধ করা,ক্লাস নেওয়া, অফিসের কাজ সামলানো, ঝাড়ু দেওয়া,জল সংগ্রহ করা সমস্ত কাজই শিক্ষিকাদের করতে হয় । ফলে প্রচন্ড চাপ পড়ে আমাদের উপর ।’
দেখুন ভিডিও 👇
তাঁর অভিযোগ, ‘উৎসশ্রী চালু হওয়ার পর স্কুলের ২৪ টি পদের মধ্যে বর্তমানে ১৭ টি পদ ফাঁকা হয়ে গেছে। শারিরীক অসুস্থতার কারন দেখিয়ে ১৭ জন শিক্ষিকা বদলি নিয়ে চলে গেছেন । বারবার শিক্ষা দফতরকে জানানো হয়েছিল যে শিক্ষিকাদের বদলির অনুমোদন দিলে স্কুলের শিক্ষা ব্যবস্থা একেবারে ভেঙে পড়বে । আর ঠিক হয়েছেও তাই । বর্তমানে স্কুলে কোন গ্রুপ-ডির কর্মী নেই, ছাত্রীদেরই ক্লাসরুম ঝাড় দিতে হচ্ছে । বিজ্ঞানের শিক্ষিকা না থাকায় ক্লাস নিচ্ছিন স্কুলের করনিক ।’ এভাবে কতদিন চলবে তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন মৌসুমীদেবী । এই বিষয়ে কালনা মহকুমা সহকারি বিদ্যালয় পরিদর্শক জহরলাল প্রামাণিক বলেন, ‘পূর্বস্থলী-২ ব্লকে সাবিত্রী বালিকা বিদ্যালয়ের শিক্ষক ও কর্মীর অভাবের কথা শুনেছি । বিষয়টি উর্ধতন কতৃপক্ষকে জানানো হয়েছে ।’।