এইদিন ওয়েবডেস্ক,লখনউ,০১ মার্চ : বিধায়ক রাজু পাল হত্যা মামলার সাক্ষী উমেশ পাল খুনীদের মধ্যে অন্যতম আরবাজকে এনকাউন্টারে খতম করেছে উত্তরপ্রদেশ পুলিশ । এবার এই হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের বাড়িসহ অন্যান্য স্থানে বুলডোজার চালানোর কথাও চলছে । মিডিয়া রিপোর্টে জানা গেছে,মঙ্গলবার (২৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৩) জেলা প্রশাসনের সঙ্গে এনিয়ে একপ্রস্থ বৈঠক করেছে প্রয়াগরাজ ডেভেলপমেন্ট অথরিটি (পিডিএ) । ওই বৈঠকে অভিযুক্তদের বাড়ি, আস্তানা ও প্লটের তালিকা তৈরির প্রক্রিয়া চলে বলে খবর ।
প্রসঙ্গত,বহুজন সমাজ পার্টির বিধায়ক রাজু পাল হত্যাকাণ্ডে মূল অভিযুক্ত গ্যাংস্টার আতিক আহমেদ ও তার ভাই । গত শুক্রবার(২৪ ফেব্রুয়ারী ২০২৩) এই মামলায় আদালতে সাক্ষ্য দিয়ে বাড়ি ফিরেছিলেন উমেশ পাল। সেই সময় উমেশ পালকে গুলি করে ও বোমা ছুড়ে খুন করা হয়েছিল। উমেশ পালের বন্দুকধারী সন্দীপ নিষাদও বুলেট ও বোমা হামলায় নিহত হন । আরেক বন্দুকধারী রাঘবেন্দ্র সিং গুরুতর আহত হন। ঘটনার তিন দিনের মাথায় এই হত্যাকাণ্ডের অন্যতম অভিযুক্ত আরবাজকে এনকাউন্টারে খতম করে ইউপি পুলিশ ।
পুলিশ জানতে পেরেছে,উমেশ পালের উপর হামলাকারী মোট শুটারের সংখ্যা ১৩ জন । যখন ৬ জন বন্দুকধারী উমেশ এবং তার বন্দুকধারীকে আক্রমণ করছিল, তখন অন্য ৭ জন ব্যাকআপ হিসাবে দাঁড়িয়েছিল । গুজরাটের সবরমতি জেলে বন্দী মাফিয়া আতিক আহমেদের আর এক সহযোগী নাফীস ও সাদাকাত খানকে এযাবৎ গ্রেফতার করা হলেও বাকি অভিযুক্তরা পলাতক । সাদাকাত খান এলাহাবাদ হাইকোর্টের একজন আইনজীবী এবং মুসলিম হোস্টেলের ৩৬ নম্বর ঘরে অবৈধভাবে বসবাস করছিলেন। সাদাকাত খান সমাজবাদী পার্টির ঘনিষ্ঠ বলে জানা গেছে। অখিলেশ যাদবের সঙ্গে তাঁর করমর্দনের একটি ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে । বলা হচ্ছে সাদাকাত নেপালে পালানোর চেষ্টা করছিল কিন্তু পথেই এসটিএফ তাকে ধরে ফেলে ।
এদিকে উমেশ পাল হত্যা মামলায় ওয়ান্টেড আতিক আহমেদের ছেলে আসাদ আহমেদের উপর ৫০ হাজার টাকা পুরস্কার ঘোষণা করা হয়েছে । পাশাপাশি মামলায় পলাতক আরও ৩ আসামির বিরুদ্ধেও পুরস্কার ঘোষণা করা হয়েছে । এই হামলার ষড়যন্ত্র হয়েছিল প্রয়াগরাজ বিশ্ববিদ্যালয়ের মুসলিম হোস্টেলে । আতিক আহমেদ হোয়াটসঅ্যাপের মাধ্যমে বন্দুকধারীদের সাথে যোগাযোগ করেছিল বলে তদন্তে জানতে পেরেছে পুলিশ ।।