এইদিন ওয়েবডেস্ক,করাচি,২৮ ফেব্রুয়ারী : ফের এক পাকিস্তানি সন্ত্রাসবাদীকে খতম করল অজ্ঞাত ব্যক্তিরা । এবার পাকিস্তানের করাচিতে গুলিস্তান-ই- জোহর(Gulistan-e-Jauhar) ব্লক ৭ এলাকায় নিজের বাড়ির সামনে অজ্ঞাত ব্যক্তিদের হাতে গুলিবিদ্ধ হয়ে মৃত্যু হল পাকিস্তান-ভিত্তিক সন্ত্রাসী সংগঠন আলবদরের (Al-Badr) প্রাক্তন কমান্ডার সৈয়দ খালিদ রাজার (Syed Khalid Raza) । ঘটনার বিবরণ অনুযায়ী,রবিবার সকালে(২৬ ফেব্রুয়ারী ২০২৩) খালিদ রাজা যখন নিজের গাড়িতে ওঠার জন্য যখন পায়ে হেঁটে যাচ্ছিলেন, সেই সময় দুই সশস্ত্র লোক তাকে লক্ষ্য করে গুলি চালিয়ে পালিয়ে যায় । একটি গুলি সরাসরি রাজার মাথায় এসে লাগলে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয় ।
প্রসঙ্গত,সন্ত্রাসবাদী সংগঠন আলবদরের উৎপত্তি ১৯৭১ সালে পাকিস্তানের বাংলাদেশের (পূর্ব পাকিস্তানের) দখলের সময় । সেই সময় বাংলাদেশে নির্বিচারে ধর্ষণ, গনহত্যা চালিয়েছিল আলবদরের সন্ত্রাসবাদীরা । পরবর্তীতে ১৯৯৮ সালে পাকিস্তানের আইএসআই দ্বারা স্বাধীন অপারেশন পরিচালনার জন্য উৎসাহিত হওয়ার আগে সন্ত্রাসী সংগঠনটি হিজবুল মুজাহিদিনের অধীনে পরিচালিত হয়েছিল । জম্মু ও কাশ্মীরকে ভারত থেকে ‘মুক্ত’ করতে এবং পাকিস্তানের সাথে একীভূত করার নামে ১৯৯৮ সাল থেকে ভারতে নাশকতা চালাতে শুরু করে ওই সন্ত্রাসবাদী সংগঠনটি । সৈয়দ খালিদ রাজা আট বছর আলবদরের কমান্ডার ছিল।
জানা গেছে যে আলবদরের সদর দফতর পাকিস্তানের মানসেরায়, পাকিস্তানের উত্তর পশ্চিম সীমান্ত প্রদেশ (NWPF) এবং পাকিস্তান-অধিকৃত জম্মু কাশ্মীরের কোটলি ও মুজাফফরাবাদে প্রশিক্ষণ শিবির রয়েছে তাদের ।
আলবদরের লক্ষ্য কঠোর ইসলামিক জীবনধারা প্রয়োগ করা । মহিলাদের চাকরি ছেড়ে দেওয়ার, বোরখা পরা, ১৪ বছর বয়সের পরে পড়াশোনা ছেড়ে দেওয়ার এবং তারা ২০০৩ সালের আগস্টে পুরুষ সহকারী ছাড়া বাইরে বের না হওয়ার ফতোয়া জারি করেছিল । ২০০২ সালের ডিসেম্বরে আলবদরের এরিয়া কমান্ডার জুবায়ের গুলের নেতৃত্বে তিনটি পৃথক ঘটনায় দুই কলেজ ছাত্র সহ তিন তরুণীকেও হত্যা করেছিল । এহেন কুখ্যাত সন্ত্রাসবাদীর অন্যতম প্রধান সৈয়দ খালিদ রাজার মৃত্যু হল অজ্ঞাত পরিচিয় ব্যক্তিদের হাতে । নিহত হওয়ার সময় খালিদ রাজা করাচির প্রাইভেট স্কুল সিস্টেমের ডেপুটি ডিরেক্টর এবং ফেডারেশন অফ প্রাইভেট স্কুলের ভাইস চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্বে ছিল ।
এর আগে গত সপ্তাহে আর এক কুখ্যাত সন্ত্রাসবাদী তথা ভারতের অন্যতম মোস্ট ওয়ান্টেড সন্ত্রাসী এবং সন্ত্রাসী সংগঠন হিজবুল মুজাহিদিনের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য ইমতিয়াজ আলম ওরফে বশির আহমেদ পিয়ারকে পাকিস্তানের রাওয়ালপিন্ডিতে গুলি করে খতম করা হয় । বশির ভারতে অনুপ্রবেশের পথ চিহ্নিত করার এবং কাশ্মীরে তাদের নতুন নিয়োগ প্রাপ্তদের প্রেরণের জন্য কাজ করত ।।