এইদিন ওয়েবডেস্ক,কলকাতা,২৫ ফেব্রুয়ারী : শনিবার দিনহাটায় নিজের নির্বাচনী এলাকায় দলীয় কর্মসূচিতে যোগ দিতে গিয়ে আক্রান্ত হন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী নিশীথ প্রামাণিক । এই ঘটনায় বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী পালটা হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছেন,’প্রত্যেক ক্রিয়ারই সমান ও বিপরীত প্রতিক্রিয়া আছে । আজ নিশিথ প্রামাণিককে যা করেছে, এর ফল ভুগতে হবে ৷’ পাশাপাশি তিনি অভিযোগ তুলেছেন বাংলাদেশী অনুপ্রবেশকারীদের ভূয়ো ভোটার কার্ড ও আধার কার্ড তৈরি করে প্রায় ১১ শতাংশ ভোটার বাড়িয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস ।
শনিবার বিকেলে রাজ্যপালের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে গিয়েছিলেন শুভেন্দু অধিকারী । সাক্ষাৎ শেষে সন্ধ্যা নাগাদ তিনি রাজভবনের সামনে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন । সাংবাদিকরা নিশীথ প্রামাণিকের উপর হামলা প্রসঙ্গে প্রশ্ন করলে শুভেন্দু অধিকারী বলেন,’নিউটিনের তৃতীয় গতিসূত্রে বলা হয়েছে প্রত্যেক ক্রিয়ারই সমান ও বিপরীত প্রতিক্রিয়া আছে । শুরুটা ওরা করলে শেষ তো আমাদের করতেই হবে । আজ নিশিথ প্রামাণিককে যা করেছে, এর ফল ভুগতে হবে৷ আপনারাও ১৩ তারিখে দিল্লিতে পার্লামেন্টে যাবেন । ওনাদেরকেও ফল হাতেনাতে পেতে হবে ৷’
তিনি বলেন,’ভারত সরকারের একজন রাষ্ট্রমন্ত্রী নিজের নির্বাচন ক্ষেত্রেই সুরক্ষিত নয়৷ পরিস্থিতি কোথায় গেছে ? দিনহাটার ওসি দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে দেখেছেন । এরপরে তো সাধারণ মানুষের নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন উঠবে । যেখানে একজনের জেড ক্যাটাগরির নিরাপত্তা রয়েছে, যার সঙ্গে কেন্দ্রীয় বাহিনী আছে,যার সঙ্গে রাজ্য পুলিশের পাইলট কার আছে,তার উপর যেভাবে বোমা ও পাথর ছোড়া হয়েছে,এটা নিয়ে আমি মহামান্য রাজ্যপালের কাছে উদ্বেগ প্রকাশ করেছি । তিনি খবর পেয়েছেন ।’ পাশাপাশি তিনি অভিযোগ তুলেছেন, এর আগে যখন নিশীথ প্রামাণিকের বাড়ি ঘেরাও কর্মসূচি করা হয় তখন পুলিশের কাছে একটা রিপোর্ট চেয়েছিলেন রাজ্যপাল । কিন্তু নিশিথ প্রামাণিকের বাড়ি ঘেরাও সম্পর্কে রাজ্যপালকে ভুল তথ্য দিয়েছে পুলিশ ।
প্রসঙ্গত, এবারে মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীর সংখ্যা কমে যাওয়া ও ভোটার বেড়ে যাওয়া নিয়ে এদিন সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি পরিসংখ্যান পোস্ট করেছিলেন শুভেন্দু অধিকারী । তাতে তিনি লিখেছেন,’মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ৩৬ শতাংশ কমছে আর পঞ্চায়েত নির্বাচনে ভোটারের সংখ্যা ১১.৫ শতাংশ বাড়ছে !!! ২০২২ সালে পরীক্ষার্থী – ১০ লক্ষ ৯৮ হাজার ৭৭৫ । ২০২৩ সালে – ৬ লক্ষ ৯৮ হাজার ৭২৪ । ২০১৮ সালে পঞ্চায়েত নির্বাচনে ভোটার – ৫ কোটি ৮ লক্ষ ৩৫ হাজার । ২০২৩ সালে – ৫ কোটি ৬৬ লক্ষ ৮৬ হাজার ।’ এই প্রসঙ্গে প্রশ্ন করা হলে শুভেন্দু বলেন,’চার লক্ষের বেশি পরীক্ষার্থীর সংখ্যা কমেছে । এই প্রথম রেজিষ্ট্রেশন করে মাধ্যমিকের অ্যাডমিট নেয়নি ৪ লক্ষেরও বেশি ছাত্রছাত্রী । এর কারন টা কি ? কারনটা হচ্ছে শিক্ষক নিয়োগের দূর্নীতি । এটা প্রধান কারন ৷ আর অন্য দিকে পঞ্চায়েতে ১১ শতাংশ ভোটার বেড়েছে । এই ভোটাররা মূলত অনুপ্রবেশকারী । বাংলাদেশের সঙ্গে ৯ টা সীমান্তবর্তী জেলায় ভোটার বাড়ানো হয়েছে । তৃণমূলের লোকেরা ভূয়ো ভোটার কার্ড ও আধার কার্ড করে দিয়েছে । তাদের সাহায্য করেছে বিডিও অফিসের লোকেরা । যাতে তাদের ভোটব্যাঙ্ক নির্দিষ্ট থাকে । এই কারনে তারা ভূয়ো ভোটার তৈরি করেছে ।’।