দিব্যেন্দু রায়,কাটোয়া(পূর্ব বর্ধমান),২৪ ফেব্রুয়ারী : মুক ও বধির কিশোরীকে ধর্ষণের ঘটনায় অভিযুক্ত যুবককে ১০ বছরের কারাদণ্ড দিল পূর্ব বর্ধমান জেলার কাটোয়া মহকুমা আদালত । পাশাপাশি তাকে ১০ হাজার টাকার জরিমানারও নির্দেশ দিয়েছেন কাটোয়া অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক সুকুমার সূত্রধর । সাজাপ্রাপ্তের নাম চাঁদ দাস । তার বাড়ি মঙ্গলকোট থানার নিগন গ্রামে । নির্যাতিতা কিশোরী যুবকের প্রতিবেশী । বৃহস্পতিবার তাকে দোষী সব্যস্ত করা হয় । আজ শুক্রবার সাজা ঘোষণা হয় ।
আদালত সূত্রে জানা গেছে,ওই ধর্ষণ মামলায় অভিযোগকারী ছিলেন নির্যাতিতার কাকা । নির্যাতিতা কিশোরী তার দাদার মেয়ে । তার ভাইঝি জন্ম থেকেই মুক ও বধির । তিনি ২০১১ সালের ১ ফেব্রুয়ারী মঙ্গলকোট থানায় লিখিত অভিযোগে জানিয়েছিলেন, ২০১০ সালের ৭ অক্টোবর রাতে জানালা দিয়ে ঘরে ঢুকে প্রতিবেশী যুবক চাঁদ দাস তার ভাইঝিকে ধর্ষণ করে । জানালায় লোহার রডের পরিবর্তে বাঁশের টুকরো দেওয়া ছিল । সেগুলো ভেঙেই ঘরে ঢোকে সে ।
জানা গেছে,প্রথমে লজ্জায় ওই কিশোরী পরিবারের লোকজনের বিষয়টি গোপন করে গিয়েছিল । কিন্তু ২০১১ সালের জানুয়ারী মাসে ওই নাবালিকা অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে কাটোয়া মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় । তখন চিকিৎসকদের কাছ থেকে পরিবার জানতে পারে কিশোরী অন্তসত্ত্বা । এরপর মেয়েটিকে জিজ্ঞাসা করা হলে সে ইশারায় ধর্ষক চাঁদ দাসকে চিনিয়েও দেয় ৷
জানা যায়,কিশোরীর পরিবারের কাছ থেকে অভিযোগ পেতেই ধর্ষক যুবককে গ্রেফতার করে আদালতে তোলা হলে তাকে জেল হেফাজতে পাঠানো হয় । যদিও সে পরে জামিনে মুক্তি পায় । ২০১১ সালের ৩০ জুন মামলার চার্জশিট জমা পড়ে । এই মামলায় ১২ জনের সাক্ষ্য নেওয়া হয় । শেষ পর্যন্ত ধর্ষক যুবকের সাজা ঘোষণা হওয়ায় খুশি নির্যাতিতার পরিবার ।।