এইদিন ওয়েবডেস্ক,নয়াদিল্লি,২৪ ফেব্রুয়ারী : জম্মু কাশ্মীর লিবারেশন ফ্রন্ট (জেকেএলএফ) প্রধান ইয়াসিন মালিককে (Yasin Malik) শুক্রবার টাডা আদালতে ভিডিও-কনফারেন্সের মাধ্যমে হাজির করানো হয় । ১৯৮৯ সালে তৎকালীন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মুফতি মোহাম্মদ সাঈদের কন্যা রুবাইয়া সাঈদের অপহরণের ঘটনায় একজন প্রত্যক্ষদর্শী তাকে শনাক্ত করেছে বলে জানা গেছে । প্রত্যক্ষদর্শী নিশ্চিত করেছেন যে রুবাইয়া সাঈদকে অপহরণের সময় ইয়াসিন উত্তর কাশ্মীরের বারামুল্লা জেলার সোপোরে গিয়েছিলেন । এর আগে যে জায়গায় মুফতি কন্যাকে লুকিয়ে রাখা হয়েছিল এবং অপহরণের সাথে যুক্ত অনান্য ব্যক্তিদেরও চিহ্নিত করেছিলেন ওই প্রত্যক্ষদর্শী ।
সিনিয়র পাবলিক প্রসিকিউটর এস কে ভাট সাংবাদিকদের বলেছেন,’আজ রুবাইয়া সাঈদ অপহরণ মামলার বিষয়ে টাডা আদালতের বিশেষ বিচারকের কাছে ইয়াসিন মালিকের একটি মামলার শুনানি ছিল। আমরা ৭ নম্বর এবং ১৩ নম্বর প্রত্যক্ষদর্শীকে ডেকেছিলাম । ১৩ নম্বর প্রত্যক্ষদর্শী আদালতে উপস্থিত ছিলেন । কিন্তু ৭ নম্বর প্রত্যক্ষদর্শী স্বাস্থ্যের কারণে উপস্থিত হতে পারেননি।’ তিনি বলেন,’প্রত্যক্ষদর্শী স্বীকার করেছেন যে রুবাইয়া সাঈদকে অপহরণের একদিন পর তিনি অন্য একজন প্রত্যক্ষদর্শীর সাথে সোপোরে গিয়েছিলেন । তার বিবৃতি অনুসারে, তিনি সেখানে খান গেস্ট হাউসে দুই অভিযুক্তের সাথে দেখা করেছিলেন এবং তিনি উভয় অভিযুক্তকে সনাক্ত করেছিলেন, যা প্রসিকিউশনের জন্য একটি বড় অর্জন ।’ তিনি বলেন,’দুই অভিযুক্তের মধ্যে আলী মোহাম্মদ মীর যিনি মালিকের পরে অপহরণ মামলার প্রধান অভিযুক্ত, রুবাইয়া সাঈদকে তার গাড়িতে করে শ্রীনগর থেকে সোপোরে নিয়ে গিয়েছিলেন এবং তাকে খান গেস্ট হাউসে রেখেছিলেন ।’
প্রসঙ্গত,সন্ত্রাসবাদে অর্থায়নের মামলায় দিল্লির তিহার জেলে বন্দী রয়েছেন ইয়াসিন মালিক । স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের নির্দেশে তার চলাচল সীমিত করার কারণে তাকে এদিন শারীরিকভাবে আদালতে হাজির করা হয়নি । ভাট জানিয়েছেন,এদিন প্রত্যক্ষদর্শীর জবানবন্দি রেকর্ড করা হয়েছে । মামলার অন্য আসামিরাও আদালতে উপস্থিত ছিল । ভার্চুয়াল মোডের মাধ্যমে মালিককে শনাক্ত করেছে প্রত্যক্ষদর্শী ।।
প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে ইয়াসিন মালিক । ছবি সৌজন্যে সোশ্যাল মিডিয়া ।