দিব্যেন্দু রায়,কাটোয়া(পূর্ব বর্ধমান),২৩ ফেব্রুয়ারী : শ্রুতিলেখক না মেলায় সাদা খাতা জমা দিল কাটোয়ার ক্ষীণ দৃষ্টির রাজিফা খাতুন । পরীক্ষা শেষে মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছে ওই পরীক্ষার্থী । বাকি পরীক্ষা কিভাবে দেবে তা নিয়ে চিন্তায় পড়ে গেছে আলমপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের ওই ছাত্রীটি । জানা গেছে,কাটোয়ার অর্জুনডিহি গ্রামে বাড়ি রাজিফার ৷ বাবা নজর আলি শেখের পাঁচ মেয়ে ও চার ছেলের মধ্যে সে সেজ ৷ জন্ম থেকেই দু’চোখের দৃষ্টি শক্তির সমস্যা রয়েছে রাজিফার । ছোট লেখা ঝাপসা দেখে । একবার অস্ত্রপচারও করা হয় । কিন্তু তাতেও কিছু উন্নতি হয়নি । তার ৯০ শতাংশ প্রতিবন্ধী সার্টিফিকেটও রয়েছে ।
এবারে মাধ্যমিক পরীক্ষা দিচ্ছে রাজিফা খাতুন । কাটোয়ার পঞ্চাননতলা উচ্চমাধ্যমিক বিদ্যালয়ে সিট পড়েছে তার । কিন্তু পরীক্ষার প্রথম দিনেই কোনো রকমে নাম ও রোল নম্বর লিখে সাদা খাতা জমা দিয়ে বাড়ি ফিরে এসেছে । রাজিফার কথায়,আমি শ্রুতিলেখক দেওয়ার কথা বলেছিলাম । কিন্তু দেওয়া হয়নি । শুনছি শ্রুতিলেখকের জন্য আগে থেকে আবেদন করতে হয় । কিন্তু বিষয়টি আমার জানা ছিল না ।’ একই কথা বলেছেন রাজিফার বাবা নজর আলি । তিনি বলেছেন,আমার মেয়ের প্রতিবন্ধী সার্টিফিকেট স্কুলে জমা দেওয়া আছে । কখন কিভাবে আবেদন করতে হয় সেটা আমাদের জানা ছিল না । স্কুলেরই বলে দেওয়া উচিত ছিল ।’
জানা গেছে,সরকারী নিয়ম অনুযায়ী পরীক্ষার দু’ মাস আগে স্কুলকে সংশ্লিষ্ট পরীক্ষার্থীর জন্য শ্রুতিলেখকের নাম সহ পর্ষদের কাছে আবেদন জমা দিতে হয় । কিন্তু রাজিফা খাতুনের ক্ষেত্রে তা হয়নি । এই বিষয়ে আলমপুর উচ্চবিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক বুদ্ধদেব মণ্ডল বলেন, ‘ছাত্রীটির পরিবার থেকে কেউ আমাদের জানায়নি । যথা সময়ে যদি আমাদের স্মরণ করিয়ে দেওয়া হত তাহলে আমরা ব্যবস্থা করে দিতাম ।’ এখন বাকি পরীক্ষাগুলির ক্ষেত্রে ওই পরীক্ষার্থীকে শ্রুতিলেখক দেওয়া হবে কিনা তা স্পষ্ট নয় ।।