এইদিন ওয়েবডেস্ক,লন্ডন,২৩ ফেব্রুয়ারী : কুখ্যাত সন্ত্রাসী সংগঠন আইএস (আইএসআইএস) যখন ইরাক-সিরিয়ায় নৃশংসতা চালাচ্ছিল তখন অনুপ্রাণিত হয়ে দেশ ছেড়ে ওই সন্ত্রাসবাদী দলে যোগ দিয়েছিলেন তৎকালীন ব্রিটিশ নাগরিক শামীমা বেগম । তারপর থেকেই তিনি বিশ্বব্যাপী পরিচিত হন ‘জেহাদী বেগম’ বলে । তার জিহাদি মানসিকতার জন্য ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০১৯ তারিখে যুক্তরাজ্যের নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়া হয় । আইএসআইএস-এর পর ২০১৯ সালে সিরিয়ান শরণার্থী শিবির আল-হাওয়ালে আশ্রয় নিতে বাধ্য হন শামীমা । সেখানে অবর্ণনীয় দূর্দশার মধ্যে কাটছে তার জীবন । ব্রিটেনে ফেরার জন্য বিশেষ অভিবাসন আপিল কমিশন (SIAC)-এ তিনি আবেদন করেছিলেন । তার রায় ঘোষণার আগে ব্রিটিশ সংবাদ মাধ্যম বিবিসির শামীমার পক্ষে সহানুভূতি তৈরির উদ্দেশ্যে ‘জিহাদি বধূ’ শিরোনামে ৯০ মিনিটের একটি প্রোপাগান্ডা তথ্যচিত্র প্রকাশ করেছিল । কিন্তু কোনো কিছুই কাজে আসেনি । বুধবার শামীমার আপিলের শুনানি করে যুক্তরাজ্যের আদালত সাফ বলেছে যে তিনি যুক্তরাজ্যে ফেরার উপযুক্ত নন। এমন পরিস্থিতিতে তাকে ব্রিটেনে আসতে দেওয়া যাবে না ।
উল্লেখ্য, ২০১৫ সালে শামীমা বেগম তার স্কুলের দুই বন্ধুর সাথে পূর্ব লন্ডনের বাড়ি ছেড়ে সিরিয়ায় যান। তখন তার বয়স ছিল মাত্র ১৫ বছর। সিরিয়ায় থাকাকালীন শামীমা আইএসআইএস-এর সন্ত্রাসবাদীকে তিনি বিয়ে করেন এবং রাক্কায় বেশ কয়েক বছর অতিবাহিত করেন। সেই সময় তিনি অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়েন । ইতিমধ্যে তার দুই সন্তান অপুষ্টি ও রোগে মারা গেছে । আইএসআইএস-এর আধিপত্য শেষ হওয়ার পর বেগম ২০১৯ সালে ৩৯,০০০ সন্ত্রাসবাদীদের সাথে সিরিয়ান শরণার্থী শিবির আল-হাওয়ালে আশ্রয় নেন । শামীমা বেগমের বয়স এখন ২৩ বছর । তিনি ব্রিটেনের কাছে দেশে ফিরতে দেওয়ার জন্য আবেদন করেছিলেন । যাতে তিনি তার সন্তানের জন্ম দিতে পারেন এবং লালনপালন করতে পারেন । সেই বছরের ফেব্রুয়ারিতে তিনি তাদের পুত্র জারাহের জন্ম দেন। যদিও পরে সে মারা যায় । যদিও ‘জেহাদী বেগম’-এর দেশে ফেরানোর আবেদন খারিজ করে দিয়েছে ব্রিটিশ আদালত ।।