প্রদীপ চট্টোপাধ্যায়,পূর্ব বর্ধমান,১৩ মার্চ : বিধানসভা ভোটকে সামনে রেখে দুস্কৃতি দৌরাত্ম বন্ধে অতি তৎপর পূর্ব বর্ধমান জেলা পুলিশ ও প্রশাসন। জেলার পূর্বস্থলী থানার পুলিশের তৎপরতায় কার্তুজ ও আগ্নেআস্ত্র সহ ধরা পড়লো দুই দুস্কৃতি । ধৃতরা হল সুরজিৎ ঘোষ ওরফে পিকু ও অসীম মন্ডল। তাদের বাড়ি যথাক্রমে পূর্বস্থলীর বড়ধামাস ও কাটোয়ার মুস্থুল এলাকায়।অপরাধ সংঘটিত করার উদ্দেশ্যে শুক্রবার রাতে সশস্ত্র দুস্কৃতি দল জড়ো হয় পূর্বস্থলীর ছাতনী মোড়ে। গোপনসূত্রে সেই খবর পেয়ে পূর্বস্থলী থানার পুলিশ সেখানে অভিযান চালিয়ে এই দুই জনকে ধরে ফেলে । তল্লাশীতে ধৃতদের কাছ থেকে একটি ওয়ান শার্টার ও তিনটি কার্তুজ উদ্ধার করা হয়েছে বলে পুলিশ জানিয়েছে।
অন্যদিকে মন্তেশ্বর থানার পুলিশের অভিযানে প্রচুর পরিমাণ চোলাই মদ ধরা পড়েছে তিন চোলাই কারবারী । ধৃতরা হল অর্জুন দাস,কৃষ্ণ দাস ও হীরু ঘোষ।তাদের বাড়ি মন্তেশ্বরের বরণডালা,আউশগ্রাম ও ঘোড়াডাঙ্গা এলাকায়। মন্তেশ্বর থানার পুলিশ চোলাই সহ শুক্রবার রাতে মন্তেশ্বরের মালডাঙ্গা বাজার থেকে তাদের ধরে ।পুলিশের দাবি ২০ লিটারের তিনটি ব্যারেলে ভর্তি ৬০ লিটার চোলাই মদ ধৃতদের ডেরা থেকে উদ্ধার হয়েছে ।সুনির্দিষ্ট ধারার মামলা রুজু করে সকল ধৃতকে শনিবার পেশ করা হয় কলনা মহকুমা আদালতে । এই সকল অপরাধীরা ছাড়াও বর্ধমান থানার পুলিশের অভিযানে ধরা পড়েছে ৭ জুয়ারি। তাদের বাড়ি বর্ধমান থানার দুবরাজদিঘি ও বাজেপ্রতাপপুর এলাকায় । পুলিস জানিয়েছে, শুক্রবার রাতে দুবরাজদিঘি হাইস্কুল পাড়ায় শেখ রাজীবের বাড়িতে জুয়ার আসর বসেছিল। খবর পেয়ে সেখানে হানা দিয়ে পুলিশ ওই ৭ জনকে ধরে ফেলে।বাকি ২-৩ জন জুয়ারি পালিয়ে যায়। পুলিশের দাবি ধৃতদের কাছ থেকে বোর্ডমানির ৬ হাজার ৪০০ টাকা, তাস ও পেন পাওয়া গিয়েছে। পুলিশ শনিবার ধৃতদের পেশ করে বর্ধমান আদালতে। ভারপ্রাপ্ত সিজেএম ধৃতদের বিচার বিভাগীয় হেফাজতে পাঠিয়ে সোমবার ফের আদালতে পেশের নির্দেশ দিয়েছেন ।।