এইদিন ওয়েবডেস্ক,মধ্যপ্রদেশ,২০ ফেব্রুয়ারী : বাগেশ্বর ধামে আনুষ্ঠানিকভাবে ‘সনাতন ধর্মে’ ফিরে এল ৬২ টি খ্রিস্টান পরিবার । রবিবার মধ্যপ্রদেশের ছতরপুরে বাগেশ্বর ধামে একটি ধর্মীয় অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছিল । ধামের পীঠধীশ্বর পণ্ডিত ধীরেন্দ্র কৃষ্ণ শাস্ত্রীসহ হাজার হাজার ভক্ত অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন । হিন্দু জাগরণ মঞ্চের তরফ থেকে বুন্দেলখণ্ড এলাকার তাপ্রিয়ান, বানাপুর, চিতোরা এবং বামহাউরি প্রভৃতি গ্রাম মিলে ওই ওই ৬২ টি পরিবারকে সেখানে আনা হয়েছিল । ধীরেন্দ্র কৃষ্ণ শাস্ত্রী তাদের সনাতন ধর্মে স্বাগত জানান । সনাতন ধর্মে ফিরে আসারা জানিয়েছেন, খ্রিস্টান মিশনারিরা তাদের বাড়ি নির্মান করে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল । সেই লোভে পড়েই তারা ধর্মান্তরিত হয়েছিল ।
পণ্ডিত ধীরেন্দ্র কৃষ্ণ শাস্ত্রী বলেন, ভুল সবার হয় । আমি আপনাদের সকলকে অনুরোধ করছি প্রতি শনি-মঙ্গলবার হনুমান মন্দিরে যাওয়া শুরু করুন। আমরা কোনো সম্প্রদায়ের বিরুদ্ধে নই কিন্তু সনাতন ধর্মের কট্টর অনুসারী। তিনি আরও বলেন, আমি জনপ্রিয়তা চাই না। আমরা রামচরিতমানসকে জাতীয় গ্রন্থ হিসেবে এবং ভারতকে হিন্দু রাষ্ট্র হিসেবে দেখতে চাই । প্রসঙ্গত,গত বছর ডিসেম্বরে মধ্যপ্রদেশের দামোহ শহরের বাগেশ্বর ধামের পণ্ডিত ধীরেন্দ্র কৃষ্ণ শাস্ত্রীর কথার সময় আড়াইশ মানুষ সনাতন ধর্মে ফিরে আসেন । তাদেরও খ্রিস্টান ধর্মপ্রচারকরা লোভ এবং প্রলোভন দেখিয়ে ধর্মান্তরিত করেছিল বলে অভিযোগ ।
বাগেশ্বর ধামের মিডিয়া কো-অর্ডিনেটর কমল অবস্থি জানান, মহাশিবরাত্রি উপলক্ষে গত কয়েকদিন ধরে বাগেশ্বর ধামে গণবিবাহের পাশাপাশি অন্যান্য ধর্মীয় অনুষ্ঠানও চলছে । দুঃস্থ পরিবারের ১২৫ জন তরুনীর গণবিবাহের আয়োজন করা হয় । তার মধ্যে ৫৮ জন তরুনীর মা বা বাবা মারা গেছেন । বিয়ের পর বিদায়ের সময় বাগেশ্বর ধামের পীঠাধীশ্বর ধীরেন্দ্র কৃষ্ণ শাস্ত্রী সহ মেয়েদেরও আবেগপ্রবণ দেখাচ্ছিল ।।