জ্যোতি প্রকাশ মুখার্জ্জী,তারাপীঠ(বীরভূম),১৬ ফেব্রুয়ারী : পুলিশ মানেই তোলাবাজ, দলদাস ইত্যাদি ট্যাগ লাইন ইচ্ছাকৃতভাবে সেঁটে দেওয়া হয়। পুলিশের একাংশের বিরুদ্ধে এই অভিযোগ সত্য হলেও যারা এই অভিযোগ আনে তাদের অনেকের থেকেই পুলিশ যে অনেক বেশি সমাজসেবামূলক কাজ করে তার প্রমাণ অতীতে বারবার পাওয়া গ্যাছে। তারাপীঠ থানার সৌজন্যে আবারও একবার পাওয়া গেল।
মশা বাহিত ডেঙ্গু প্রায়শই বিপজ্জনক আকার ধারণ করে এই বাংলায়। অনেকেই অকালে মৃত্যুর মুখে ঢলে পড়ে। এর থেকে বাঁচার সবচেয়ে বড় উপায় হলো সচেতনতা। রাতে শোওয়ার সময় মশারি ব্যবহার করা, মশার আঁতুর ঘর ধ্বংস করা, বাড়ির আশেপাশে জল জমতে না দেওয়া, চারপাশ পরিস্কার রাখা ইত্যাদি। এবার মানুষকে এই বিষয়ে সচেতন করার জন্য এগিয়ে এলো বীরভূমের তারাপীঠ থানা। কার্যত স্বাস্থ্য বিভাগের ভূমিকা পালন করল পুলিশ প্রশাসন।
গত মঙ্গলবার তারাপীঠ থানার এএসআই রবীন ব্যানার্জ্জীর নেতৃত্বে এক পথসভার মাধ্যমে মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জ্জীর স্বপ্নের ‘আপনার থানা আপনার পাড়ায়’ ডেঙ্গু সংক্রান্ত সচেতনতামূলক প্রচার করা হয়। কিভাবে এই মারণ রোগকে পরাস্ত করা যায় সেই সম্পর্কে তিনি উপস্থিত মানুষদের পরামর্শ দেন। শুধু তাই নয় বিভিন্ন ধরনের সাইবার ক্রাইম সম্পর্কেও তিনি মানুষকে সচেতন করেন এবং যেকোনো সমস্যায় নির্বিদ্বিধায় থানার সঙ্গে যোগাযোগ করার পরামর্শ দেন। রবীন বাবু ছাড়াও থানার কয়েকজন সিভিক ভলাণ্টিয়ার ও এলাকার বিশিষ্ট ব্যক্তি এই শিবিরে উপস্থিত ছিলেন।
তারাপীঠ থানার এই উদ্যোগের ভূয়সী প্রশংসা করে এলাকার বাসিন্দা মলয় মণ্ডল বললেন,যেকোনো বিষয়ে বিশিষ্ট ব্যক্তিদের প্রচার বা মন্তব্য সাধারণ মানুষের উপর বিশেষ প্রভাব ফেলে। আশা করি এক্ষেত্রেও তার কোনো ব্যতিক্রম ঘটবে না। তিনি আরও বললেন,আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণের পাশাপাশি দীর্ঘদিন ধরেই বিভিন্ন বিষয়ে তারাপীঠ থানার আধিকারিকরা সাধারণ মানুষকে সচেতন করে চলেছেন।
অন্যদিকে রবীনবাবু বললেন,পুলিশ কর্মী হলেও আমরাও এই সমাজে বাস করি। সুতরাং মানুষ হিসাবে এই সমাজের প্রতি আমাদেরও দায়বদ্ধতা আছে। তাছাড়া আমাদের থানার বড়বাবু সর্বদাই এলাকার সামাজিক সমস্যা সম্পর্কে সচেতন থাকেন এবং প্রতিমুহূর্তে আমাদের বিষয়গুলি অবহিত করেন। ফলে আমরা বাড়তি উৎসাহ লাভ করি। তারাপীঠের মত এলাকা সবদিক দিয়ে ভাল থাকলে আমরা সবাই ভাল থাকবো ।।