প্রদীপ চট্টোপাধ্যায়,বর্ধমান,১২ ফেব্রুয়ারী : হুলা পার্টি ধাওয়া করে তাড়িয়ে নিয়ে গিয়ে ঘুমপাড়ানি গুলিতে শেষমেশ কাবু করলো দাঁতাল হাতিকে। দু’দিন ধরে দাপিয়ে বেড়ানো হাতিকে বাগে আনতে পেরে আপাতত বন কর্মীরা যেমন স্বস্তিতে তেমনি স্বস্তিতে হুগলীর আরামবাগ ও পূর্ব বর্ধমানের মাধবডিহির বাসিন্দারা। হাতিটিকে জঙ্গলে ফিরিয়ে দেওয়ার প্রস্তুতি চালাচ্ছে বন দফতরের কর্মীরা।
দলছুট দাঁতাল হাতিটি শনিবার চলে আসে হুগলীর আরামবাগে । দিনভর হুগলির আরামবাগ ও গোঘাটে এলাকায় তাণ্ডব চালায় হাতিটি। পরে ওই দিনই বিকেলে দ্বারকেশ্বর নদ পেরিয়ে হাতিটি চলে আসে আরামবাগ শহরে । হাতি দেখে আতঙ্কিত হয়ে পড়ে আরামবাগ শহরের বাসিন্দা ও ব্যবসায়ীরা প্রাণ বাঁচাতে ছুটো ছুটি শুরু করে দেন।
ওই হাতিটির আক্রমনে দু’জন জখমও হয় ।কয়েকটি বাইকও ভেঙে দেয় হাতি টি । হাতির আক্রমণের ভয়ে আরামবাগ শহরের ব্যবসায়ীরা যে যাঁর দোকান বন্ধ করে দিয়ে নিরাপদ জায়গায় সড়ে পড়েন।সেই খবর পেয়ে বন দফতরের কর্মী ও হুল্লা পার্টির লোকজন বহু কষ্টে হাতিটিকে সেখান থেকে তাড়িয়ে নিয়ে যায় । কিন্তু রাত হয়ে যাওয়ায় হাতিটিকে জঙ্গলে ফিরিয়ে নিয়ে যাওয়া সম্ভব হয় না। রবিবার সকালে সেই হাতি চলে আসে পূর্ব বর্ধমানের মাধবডিহি থানার উচালনে ।বন কর্মীরা সেখানে পৌছে দু’রাউণ্ড ঘুমপাড়ানি গুলি করে হাতিটিকে কাবু করতে সক্ষম হয় । হাতি বাগে আসতেই স্বস্তি ফেরে উচালনের চাষিদের। এলাকার চাষি নরেশ বাউরী বলেন,’আমরা খুব চিন্তায় ছিলাম। মাঠে যেভাবে হাতিটি দাপিয়ে বেড়াচ্ছিল তাতে আলুর প্রচুর ক্ষতি হত। যাই হোক বনকর্মীরা হাতিটিকে বন্দী করায় আমরা এখন চিন্তামুক্ত।’
বনসহায়ক সুমন ব্যান্দ্যোপাধ্যায় জানান,শনিবার হাতিটি আরামবাগ পৌরসভার ১৮ নম্বর ওয়ার্ডের কালিপুরে ছিল। হল্লাপার্টির তাড়া খেয়ে হাতিটি গোঘাট হয়ে উচালনে চলে আসে ।
জেলা বনাধিকারিক নিশা গোস্বামী বলেন,’আমরা হতিটি প্রথমে জঙ্গলে ফেরানোর চেষ্টা করছিলাম। কিন্তু উচালনে ঢুকে পড়ায় দুর্ঘটনা এড়াতে ২ রাউণ্ড ঘুমপাড়ানি গুলি ছুড়ে তাকে বন্দী করা হয়েছে। হাতিটিকে কোথায় নিয়ে যাওয়া হবে সেই নিয়ে এখনো সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় নি।উত্তরবঙ্গেও নিয়ে যাওয়া হতে পাতে দলছুট দাঁতালটিকে ।’।