এইদিন ওয়েবডেস্ক,ভাতার(পূর্ব বর্ধমান),১১ ফেব্রুয়ারী : পূর্ব বর্ধমান জেলার ভাতারে জমি নিয়ে বিবাদের জেরে ভগ্নিপতি ও ভাগনেকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কোপানোর অভিযোগ উঠল সমন্ধী ও তার পরিবারের লোকজনের বিরুদ্ধে । শনিবার সকালের এই ঘটনার পর ভাতার থানার রাজিপুর গ্রামের বাসিন্দা আহত শেখ নুর মহম্মদ ও তার ছেলে শেখ নাজমুল হাসান বর্তমানে বর্ধমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন । তাদের অবস্থা গুরুতর বলে জানা গেছে ।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে,রাজিপুর গ্রামেই বাড়ি জখম শেখ নুর মহম্মদের । প্রায় ২৬ বছর আগে একই গ্রামের বাসিন্দা শেখ সাকিরের মেয়ে আজমিরার সঙ্গে বিয়ে হয় তার । বছর দেড়েক আগে মারা গেছেন শেখ সাকির । নুর মহম্মদের স্ত্রী আজমিরা বিবির কথায়,’বিয়ের সময় আমার বাবা কোনো যৌতুক দিতে পারেননি । সেই কারনে তিনি দেড় বিঘা পরিমান জমি আমার স্বামীকে মৌখিক ভাবে দিয়ে গিয়েছিলেন । বাবা মারা যাওয়ায় জমিটি রেজিস্টি হয়নি । তবে আমার স্বামীই জমিটিতে চাষবাস করে আসছেন । এবারেও জমিতে বোরো চাষ করেছন আমার স্বামী । কিন্তু বাবা মারা যাওয়ার পর থেকেই আমার ছোট দাদা শেখ ইয়ার মহম্মদ ওই জমিটি দখল করে নিতে চাইছিল । এদিন দাদা জমিটি জোর করে দখল করতে গেলে আমার স্বামী ও ছেলে বাবা দেয় । তখন তাদের উপর ধারালো অস্ত্র দিয়ে হামলা চালায় দাদা ও এক ভাইপো ।’
অভিযোগ,এদিন সকালে জমিটিতে সার ছিটিয়ে দখল নেওয়ার চেষ্টা করে শেখ ইয়ার মহম্মদ ও তার এক ছেলে । খবর পেয়ে সেখানে ছুটে যায় শেখ নুর মহম্মদ ও তার ছেলে শেখ নাজমুল হাসান । দু’পক্ষের মধ্যে প্রথমে তুমুল বাকবিতন্ডা শুরু হয় । তারই মাঝে ইয়ার মহম্মদ ও ছেলে মিলে ছুরি, ভোজালি দিয়ে নুর মহম্মদ ও তার ছেলেকে এলোপাথাড়ি কোপায় বলে অভিযোগ । নুর মহম্মদের গলায় ও তার ছেলে নাজমুল হাসানের শরীরের একাধিক জায়গায় গভীর ক্ষতের সৃষ্টি হয়েছে বলে জানা গেছে । স্থানীয় লোকজন তাদের উদ্ধার করে প্রথমে ভাতার গ্রামীন হাসপাতালে নিয়ে যায় । পরে তাদের বর্ধমানে স্থানান্তরিত করা হয় ।
এদিকে এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে গ্রামে । খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসে ভাতার থানার পুলিশবাহিনী । যদিও এদিন দুপুর পর্যন্ত এনিয়ে থানায় নির্দিষ্ট কোনো অভিযোগ দায়ের হয়নি বলে জানা গেছে ।।