এইদিন ওয়েবডেস্ক,আঙ্কারা,১১ ফেব্রুয়ারী : গত সোমবার ৭.৮ মাত্রার ভূমিকম্পে প্রচুর ক্ষয়ক্ষতির মুখে পড়েছে দুই মুসলিম রাষ্ট্র তুরস্ক ও সিরিয়া । এযাবৎ প্রায় ২১ হাজার মানুষ মারা গেছেন বলে সরকারিভাবে জানানো হয়েছে । বর্তমানে উদ্ধার অভিযান চলছে । বিশেষজ্ঞরা আশঙ্কা করছেন সিরিয়ার উত্তরাঞ্চল এবং তুরস্কের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলের ভূমিকম্পে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ১ লাখের বেশি হতে পারে ।
তুরস্কের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা সংস্থা জানিয়েছে, সোমবারের ভূমিকম্প ও তারপর একাধিক আফটার শকের পর দেশ জুড়ে ১১ হাজার ৩৪২ টি আবাসন ধূলিস্যাৎ হয়ে গেছে ৷ এদের মধ্যে অনেকগুলো ছিল বহুতল ভবন । আর ভোর ৪টা ১৭ মিনিটে যখন ভূমিকম্প হয় তখন ভবনগুলিতে বসবাসকারী মানুষ গভীর ঘুমে আচ্ছন্ন ছিলেন । ফলে কেউই নিরাপদ স্থানে পালিয়ে যাওয়ার সূযোগ পর্যন্ত পায়নি ।
সিরিয়া এবং তুরস্কে উদ্ধার অভিযানে রত কর্মীরা জানিয়েছেন, আগামী কয়েক ঘণ্টার মধ্যে মৃত্যুর সংখ্যা কয়েক হাজার বেড়ে যাবে । কারন প্রবল ঠান্ডায় ৭২ ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে খাবার ও জল ছাড়া ধ্বংসস্তুপে আটকে পড়াদের বেঁচে থাকার সম্ভাবনা খুবই কম ।
ড্রোন এবং স্যাটেলাইট ফুটেজের সাথে বৈশ্বিক ডাটাবেজগুলোকে একত্রিত করে বিপর্যয় ব্যবস্থাপনা এবং ঝুঁকি হ্রাস প্রযুক্তি কেন্দ্র রিস্কলেয়ার পূর্বাভাস দিয়েছে যে আবহাওয়া এবং আরও ভবন ধসের উপর নির্ভর করছে মৃতের সংখ্যা ১ লাখের বেশি বাড়তে পারে কিনা । ভূমিকম্প বিশেষজ্ঞ ওভগুন আহমেত এরজান দ্য ইকোনমিস্ট এর প্রতিবেদনে জানিয়েছেন, ১ লাখ ৮০ হাজারের বেশি মানুষ ধ্বংসস্তূপের নিচে আটকে থাকতে পারেন বলে অনুমান করা হচ্ছে । আর তাদের বেশিরভাগই ইতিমধ্যে মারা গিয়েছেন ।
ভূমিকম্পে কত মানুষ প্রভাবিত হয়েছে তা দু’দেশের কোনো সরকারই নিশ্চিত করে কিছু জানাতে পারেনি । তবে অনুমান করা হচ্ছে যে তুরস্ক এবং সিরিয়া জুড়ে প্রায় ২৩ মিলিয়ন মানুষ এই বিপর্যয়ের শিকার হয়েছেন । এক বিবৃতিতে তুরস্কের প্রেসিডেন্ট এরদোয়ান বলেছেন,’সময়ের সাথে সাথে মৃতের সংখ্যা দ্রুত বাড়ছে ।’।