এইদিন ওয়েবডেস্ক,আঙ্কারা,১০ ফেব্রুয়ারী : আসন্ন নির্বাচনে ভারত বিদ্বেষী বলে পরিচিত তুর্কি প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ানের দল একে পার্টির (একেপি) ভরাডুবি হতে পারে বলে মনে করছেন একজন তুর্কি কর্মকর্তা । এদিকে আগামী ১৪ মে তুরস্কে প্রেসিডেন্ট নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে । এরদোয়ান তৃতীয় দফায় দেশ শাসন করতে ইচ্ছুক । তিনি নির্বাচনের তারিখ এক মাস এগিয়ে আনার কথাও ঘোষণা করেছিলেন । কিন্তু ভূমিকম্পের পর তার সমস্ত ছক উলট পালটা করে দিয়েছে । তাই বেগতিক বুঝে এখন ভোট স্থগিত করার বিষয়ে চিন্তাভাবনা শুরু করে দিয়েছেন তুর্কি প্রেসিডেন্ট ।
তবে নির্বাচন যখনই হোক না কেন এবারে এরদোয়ানকে সবচেয়ে কঠিন নির্বাচনী চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হতে হবে বলে জনমত সমীক্ষায় উঠে এসেছে । মুদ্রাস্ফীতি ও তুর্কি লিরার মূল্য কমে যাওয়ার কারণে এরদোয়ানের জনপ্রিয়তা ব্যাপক হ্রাস পেয়েছে। এছাড়া ভয়াবহ ভূমিকম্পের পর নিহতের সংখ্যা যতই বাড়ছে ততই তার বিরুদ্ধে ক্ষোভে ফুঁসছে সাধারণ মানুষ । পরিস্থিতি মোকাবেলায় এরদোয়ান ব্যর্থ হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে । ভূমিকম্পের পর ক্ষতিগ্রস্থ এলাকায় তিন মাসের জরুরি অবস্থা ঘোষণা,উদ্ধার অভিযানের ধীর গতি,অপর্যাপ্ত ত্রাণ,পানীয় জলের আকাল ও বিদ্যুৎ বিহীব অবস্থার জন্য ব্যাপক সমালোচনার মুখে পড়েছেন এরদোয়ান । বিরোধী দলের রাজনীতিবিদদের পাশাপাশি সাধারণ মানুষও সোশ্যাল মিডিয়ার বিভিন্ন প্লাটফর্মে সরকারের সমালোচনা করছেন । এমনকি সাধারণ মানুষের ব্যাপক ক্ষোভের মুখে পড়তে হয়েছে এরদোয়ানকে । ভোটারদের তুর্কি প্রেসিডেন্টের মুখের উপর বলতে শোনা গেছে,’ভোট চাইতে আসবেন না । আপনার লজ্জিত হওয়া উচিত ।’
বিদেশে বসবাসকারী তুর্কি সাংবাদিক জান দুন্দার বলেছেন, ‘১৯৯৯ সালের ভূমিকম্পের বিপর্যয়ের পর এরদোয়ান ক্ষমতায় এসেছিলেন। আর ২০২৩ সালের ভূমিকম্প তাকে ক্ষমতা থেকে বিতাড়িত করবে।’ উল্লেখ্য, ১৯৯৯ সালের ভূমিকম্পে ১৭ হাজার মানুষ মারা গিয়েছিলেন। তৎকালীন সরকার পরিস্থিতি মোকাবেলায় ব্যর্থ হয়েছিল বলে অভিযোগ ছিল। এর ফলে ২০০২ সালের নির্বাচনে এরদোয়ানের দল একেপি বিজয়ী হয় ।।