এইদিন ওয়েবডেস্ক,ইসলামাবাদ,১০ ফেব্রুয়ারী : ভারতের প্রতিবেশী দেশ পাকিস্তান খাদের কিনারায় এসে দাঁড়িয়েছে । পাকিস্তানের বৈদেশিক মুদ্রার ভান্ডার মাত্র ২.৯ বিলিয়ন ডলারে নেমে এসেছে, যা ২০১৪ সালের ফেব্রুয়ারীর পর থেকে সর্বনিম্ন । দেশের বর্তমান মজুত বৈদেশিক মুদ্রার ভান্ডার দিয়ে দুই সপ্তাহের কম সময়ের জন্য নিত্যপ্রয়োজনীয় সামগ্রী আমদানি করা সম্ভব । এদিকে ৬.৫ বিলিয়ন ডলারের বেলআউট প্যাকেজ পুনরুজ্জীবিত করার জন্য পাকিস্তান এবং আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) মধ্যে বৃহস্পতিবারের বৈঠক ব্যর্থ হয়েছে । সূত্রের খবর,পাক সেনা কর্মকর্তা, রাজনীতিবিদ, আমলা, আইএসআই,পুলিশ কর্মকর্তা এবং বিচারকদের সম্পত্তির বিবরণ চেয়েছিল আইএমএফ । কিন্তু এতে দেশে গৃহযুদ্ধের পরিস্থিতির সৃষ্টি হতে পারে,এই আশঙ্কায় ওই সমস্ত তথ্য দিতে অস্বীকার করেছে পাকিস্থান । ফলে পাকিস্থানকে ঋণ দেওয়ার বিষয়ে কোনো প্রকার সিদ্ধান্তে আসার আগেই শুক্রবার ফিরে চলে যাচ্ছে নাথান পোর্টারের নেতৃত্বে আইএমএফ-এর প্রতিনিধিদল । এই পরিস্থিতিতে অনুমান করা হচ্ছে দু’সপ্তাহের মধ্যে দেউলিয়া রাষ্ট্র ঘোষণা করা হতে পারে পাকিস্থানকে।
স্টেট ব্যাঙ্ক অফ পাকিস্তান (এসবিপি) বলেছে যে দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ১৭০ মিলিয়ন ডলার থেকে কমে ২.৯ বিলিয়ন ডলার হয়েছে। এর পাশাপাশি আইএমএফও মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে, যা পাকিস্তানের জন্য খুবই খারাপ খবর। তবে এর আগে পাকিস্তানের অর্থমন্ত্রী ইসহাক দার আশাবাদী ছিলেন যে পাকিস্তান সরকার এবং আইএমএফের মধ্যে ইতিবাচক আলোচনার পর শীঘ্রই ৭ বিলিয়ন ডলার ঋণ পাওয়া যাবে, কিন্তু তা হয়নি। পাকিস্তান সরকার আইএমএফের সব শর্ত মানতে প্রস্তুত থাকলেও আইএমএফ ঋণ দিতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে । বিশ্বাসযোগ্যতার সংকটের কারণে, আইএমএফ এবার পাকিস্তানকে অন্ধভাবে বিশ্বাস করতে রাজি ছিল না এবং অনেক পূর্ব শর্তও রেখেছিল । অচলাবস্থা ভাঙার জন্য, প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরীফ এবং আইএমএফ মিশন প্রধান নাথান পোর্টারের মধ্যে একটি অনির্ধারিত ভার্চুয়াল বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছিল । শেহবাজ শরীফ মধ্যরাতের আগে জাতির সাথে একটি সুসংবাদ ভাগ করে নেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেওয়ার কয়েক ঘন্টা পরে সিদ্ধান্তহীন আলোচনার কারণে পাকিস্তানের অর্থমন্ত্রী ইসহাক দারকে তার মিডিয়া ব্রিফিং বাতিল করতে হয়েছে ।
এদিকে আইএমএফ থেকে ঋণ না পাওয়ায় পাকিস্তানে অর্থনৈতিক মন্দা ও মুদ্রাস্ফীতি রেকর্ড ছাড়িয়েছে । এমতাবস্থায় প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরীফের পক্ষে সরকার চালানো কঠিন হয়ে পড়ছে । পাকিস্তানের জনগণের জন্য দুবেলা খাবারের ব্যবস্থা করা কঠিন হয়ে পড়ছে । পাকিস্তানের অবস্থা একই থাকলে খুব শীঘ্রই শ্রীলঙ্কার মতো অবস্থা হবে ।।