উত্তরাখণ্ডের নিম করোলি বাবাকে বজরঙ্গবলীর অবতার বলে মনে করা হয় । ঐশ্বরিক ক্ষমতার অধিকারী বিংশ শতাব্দীর এই মহান যোগীর কাছে দেশবিদেশের বহু মানুষ ছুটে আসতেন । বাবার সান্নিধ্যে তারা সমৃদ্ধ হতেন, হতেন উপকৃতও । বহু শিষ্য শিষ্যা ছিল তাঁর । নিম করোলি বাবা প্রকৃত ধনী হওয়ার ৩ টি উপদেশ দিয়েছিলেন । আসুন জেনে নিই কি সেই তিন উপদেশ :-
অর্থের উপযোগিতা :-
নিম করোলি বাবার মতে,যদি একজন ব্যক্তির প্রচুর অর্থ থাকে তবে তাকে ধনী ভাবা ঠিক নয় । ধনী বলার আগে তার সেই টাকার সঠিক ব্যবহার সম্পর্কে জানতে হবে । তাঁর মতে, সম্পদের এমন কোনো ব্যবহার নেই যা অভাবীদের কাজে লাগে না,তারা প্রকৃত ধনী নয় । ধনী তারাই যারা অর্থকে সঠিকভাবে ব্যবহার করে। সেজন্য প্রত্যেক মানুষের কর্তব্য হল তার অর্থ প্রথমে অভাবগ্রস্তের জন্য ব্যবহার করা ।
সম্পদের বিতরন :-
ধনী হওয়ার বিষয়ে নিম করোলি বাবা বলেছেন আপনি যদি সম্পদ বিতরণ না করেন এবং আপনার অর্থের ভাণ্ডার খালি না করেন তবে আপনি কীভাবে তা পূরণ করবেন? আপনি যদি আমানত হিসাবে টাকা রাখেন তবে এটি শেষ পর্যন্ত একদিন না একদিন ফুরিয়ে যাবে, কারণ ঈশ্বর সর্বদা এমন ধনী ব্যক্তিদের বেছে নেন যারা দরিদ্র ও অভাবীদের প্রতি ভালবাসা থেকে তাকে সাহায্য করে। অর্থাৎ আপনার মধ্যে যদি কাউকে সাহায্য করার মনোভাব না থাকে এবং আপনি যদি জীবনে শুধুমাত্র অর্থ উপার্জন করে যান, তাহলে বুঝবেন আপনি বেশিদিন ধনী হতে পারবেন না। আর যদি তুমি তোমার ধন- সম্পদকে অভাবগ্রস্ত কারোর জন্য একটুখানি খালি করে দাও, তাহলে ঈশ্বরের মহিমায় আবার সেই কোষাগার পূর্ণ হয়ে যাবে । এমন একটি তহবিল করা প্রায় অসম্ভব যে এটি কীভাবে খালি করতে হয় তা জানে না। সঞ্চিত সম্পদ চিরকাল থাকে না, একদিন না একদিন তা চলে যায় ।
আচরণ ও ঈশ্বরে বিশ্বাস :-
নিম করোলি বাবা বলেছেন যে একজনের হৃদয়, আচরণ ও সর্বদা ঈশ্বর বিশ্বাসের ভান্ডার সর্বদা পূর্ণ হওয়া উচিত । আপনি যদি এই তিনটি ধনে পরিপূর্ণ হন তবে আপনি নিজেকে কখনই দরিদ্র ভাববেন না । দৈহিকভাবে দৃশ্যমান বস্তু রত্ন নয়। মানবদেহের মতো একদিন তাও বিনষ্ট হবে, কিন্তু সমাজে আপনার কাজ, অনুভূতি, ভক্তি ও কল্যাণের কথা মানুষ চিরকাল মনে রাখবে। এই ধরনের তহবিল কখনই ক্ষয় হয় না। শুধুমাত্র এই ধরনের মানুষ প্রকৃত ধনী হয় ।।